মিজান তানজিল : রোববার দুপুরে পাবনার পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি রেলওয়ের জন্য কাজ করি, দেশের জন্য কাজ করি, সেহেতু আমাকে কাজে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে, তাতে আমি খুশি। শফিকুল বলেন, এটাই আমার প্রথম সাময়িক বরখাস্ত। এর আগে কখনও সাময়িক বরখাস্ত হইনি। যেদিন আমি ঐ রাতে গাড়িতে দায়িত্ব পালন করেছি, সেদিন আপ অ্যান্ড ডাউনে ৭৮ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করে জমা দিয়েছি।
টিটিই শফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত বলে মন্তব্য করেন পাকশী রেল বিভাগের ডিসিও (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা) নাসির উদ্দিন।
এই মন্তব্যের জবাবে শফিকুল বলেন, আমি মাদক সেবন তো দূরের কথা বিড়ি-সিগারেটও খাই না। এমনকি চা স্টলে চাও খাই না। এর আগে রোববার রেলভবনে সাংবাদিকদের টিটিই শফিকুল আলমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সেইসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুরো ঘটনাটা বের হয়ে আসবে। তার দাবি, গতকাল পর্যন্ত তিনি জানতেন না অভিযোগকারীরা তার স্ত্রীর আত্মীয়। তিনি পরে জানতে পেরেছেন। তবে মন্ত্রীর স্ত্রী শুধুমাত্র অভিযোগ করেছেন, কাউকে বরখাস্ত করতে বলেননি বলে জানান তিনি। টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠা তিন যাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে শুক্রবার টিটিই শফিকুল আলমকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে।
৫ মে ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে তিন যাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনে চেপে বসেন। ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম তাদের টিকিট দেখতে চাইলে তারা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন।
এসিওর পরামর্শ অনুযায়ী টিটিই শফিকুল ইসলাম ঐ তিন যাত্রীকে এসি টিকিটের পরিবর্তে মোট ১ হাজার ৫০ টাকার জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির নন এসি কোচের সাধারণ আসনের টিকিট করে দেন। এরপর যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ঐ ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।