মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ
সুজন কৈরী : বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সড়ক থেকে সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর ১৩ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১৩ ও ১৪ সহ কয়েকটি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে শ্রমিকদের রাস্তা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে পুলিশ। না সরলে সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে মারমুখী হয়ে উঠেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. মাহবুব বলেন, শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। আমরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় ন্যুনতম বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। উত্তরার আজমপুরে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকরা এ অবরোধ করে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতা বাড়ছে না। তাই ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার টাকা করার দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। দক্ষিণখানের চৈতি গার্মেন্টস, ইন্ট্রাকো ফ্যাশন ও ইন্ট্রাকো ডিজাইনসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসের প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক আন্দোলনে নামেন।
শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সড়ক ছেড়ে বললেও তারা সরেনি। পরে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।