কক্সবাজারে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, বাসায় ফিরে আত্মহত্যা : সিআইডি
সুজন কৈরী : প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। এরপর সেখানে থেকে চট্টগ্রামের বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক টমটম চালক রুবেল ও ঐ তরুণীর প্রেমিক জিসানুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে এক বছর ধরে জিসানুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই কিশোরী। জিসান বায়েজিদ বোস্তামী এলাকান ‘ফুলকলি মিষ্টির’ কারখানায় কাজ করতেন। পরে কক্সবাজারে বেশি বেতনে চাকরি পেয়ে নতুন কর্মস্থলে চলে যান জিসান। তবে মোবাইলে জিসানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো।
তিনি আরও বলেন, জিসানের আমন্ত্রণেই গত ৩১ মে এক বান্ধবীসহ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যায় সে। কিন্তু বন্ধু জিসান ব্যস্ত আছেন, দেখা করতে পারবে না বলে জানান এবং তাদেরকে চট্টগ্রাম ফিরে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন বন্ধবীসহ ওই কিশোরী একটি টমটম নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যান চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য। টমটম চালক রুবেল ঘটনা জানার পর তাদেরকে আশ্বস্ত করেন জিসান তার পূর্ব পরিচিত। যেভাবেই হোক জিসানের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেবেন।
রুবেলের কথায় আশ্বস্ত হয়ে বান্ধবীকে চট্টগ্রামের বাসে তুলে দিয়ে নিজে থেকে যায় ওই কিশোরী। মুক্তাধর বলেন, রুবেল জিসানকে খুঁজে বের করার অভিনয় করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। রাতে জিসান ‘হোটেল আলামিন’-এ দেখা করবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হোটেলে রুম নিয়ে দেন রুবেল। রাতে জিসান এসেছে জানিয়ে হোটেলের রুমের দরজা খোলার জন্য তাকে বললে সে দরজা খুলে দেয়। তখন রুবেল ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই কিশোরী ১ জুন চট্টগ্রামে নিজ বাসায় ফিরে আসে। ৩ জুন নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।