বেসামাল চালের বাজার
অর্থনীতি ডেস্ক : বোরো ধানের ভরা মৌসুম চললেও চালের বাজারে জ্বলছে আগুন। খুচরা বাজারে গেল মে মাসের শেষ দিক থেকে চালের বাড়তি দামে মধ্যবিত্ত ও নি¤œআয়ের মানুষের দৈন্যদশা নতুন মাসের দশ দিনে পৌঁছেছে তুঙ্গে। খুচরা বিক্রির দোকানে বিআর-২৮ চালের কেজি হয়েছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা।
পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায়, ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিআর-২৯। আর মোটা আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। অন্যদিকে ভালো মানের চিকন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজিতে। নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা, চিকন আতপ চাল ৬৮ টাকা ও পোলাও চাল ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও আশপাশের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে কেন পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে তার সঠিক কোনো জবাব জানা নেই তাদের। নিউমার্কেটের সাথী এন্টারপ্রাইজের বিক্রয়কর্মী আরিফ হাওলাদার বলেন, গত মাসের শেষ দিক থেকেই চালের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকান থেকে কিনে এনে খোলা বাজারে
ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। বস্তাপ্রতি আমাদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে মনে হচ্ছে না আগের দামে ফিরবে।
ক্রেতারা বলছেন, চালের দাম নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন তারা। বড় বাজারের খুচরা দোকানে যে দামে চাল বিক্রি হচ্ছে, এলাকার দোকানগুলোতে তার চেয়েও ১ থেকে ২ টাকা বাড়তি চাইছেন বিক্রেতারা।
ফরিদ হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পরও এই কয়েকমাস চালের বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গত মাস থেকে চালের দাম বেড়েছে। এর জন্য বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সত্যি বলতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। শিগগিরই চালের দাম কিছুটা না কমলে জীবনযাপন আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। সূত্র : ঢাকাপোস্ট