এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ১৫ জুন থেকে তিন সপ্তাহ কোচিং সেন্টার বন্ধ
অর্থনীতি ডেস্ক : এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ১৫ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার সচিবালয়ে এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য আগামী ১৫ জুন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের সব ধরণের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কোচিং সেন্টারগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হবে। যারা গোপনে খোলা রাখেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোচিং সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধের উদ্যোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং ক্ষতিকর তা আমরা বলছি না। সব শিক্ষার্থীর মেধা এক থাকে না। অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাসের বাইরে সহযোগিতা প্রয়োজন। শ্রেণিকক্ষে তাদের সব চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না, তাই তাদের জন্য কোচিং প্রয়োজন রয়েছে।
শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষে কোনো কোনো শিক্ষক ক্লাসে মনোযোগ না দিয়ে কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোচিং না করলে নম্বর কমিয়ে দেন তাও অনৈতিক। তবে কোচিংয়ের ধরন পাল্টানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনও শিক্ষক যদি ক্লাস রুমের বাইরে ভালো শেখান তা কি বন্ধ করা সম্ভব? তবে কোনও শিক্ষক যাতে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে বাধ্য না করেন সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবারের এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। আগামী ১৯ জুন থেকে ৬ জুলাই সারাদেশে তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ পরীক্ষার্থী কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
করোনা মহামারিতে বাল্যবিয়ের কারণে পরীক্ষার্থী কমেছে কিনা- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান তা বলছে না। আমাদের পরিসংখ্যানে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি। প্রতি বছর মানোন্নয়নের জন্য অনেকে পরীক্ষা দেয়। কিন্তু গতবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আবশ্যিক বিষয়ে, সে কারণে পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী নেই বললেই চলে। গতবার যদি পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা হতো তাহলে যারা অকৃতকার্য হতো তারা এবার পরীক্ষায় অংশ নিতো। সে কারণে এবার পরীক্ষার্থী কম মনে হচ্ছে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আসলে নিয়মিত পরীক্ষার্থী কমেনি। এছাড়া এমনও হয় কেউ কেউ রেজিস্ট্রেশন করেও পরীক্ষা দেয় না, কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। সবাই পাস করেছে।
এ বছর নয়টি সাধারণ বোর্ডে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন এবং দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন ও কারিগরিতে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন অংশ নেবে। সূত্র : বাংলানিউজ, সময়টিভি অনলাইন