রাশিদ রিয়াজ : আগামী দেড় বছরে ভারতজুড়ে ১০ লাখ কর্মসংস্থান হবে, সরকারি দফতরগুলিকে তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । মোদির অফিস থেকে মঙ্গলবার একথা জানানো হয়।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্র সরকারের সমস্ত দফতর এবং মন্ত্রণালয়ে মানব সম্পদ পর্যালোচনা করা হয়। তারপরেই ১০ লাখ কর্মসংস্থানের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা নিয়ে বিরোধীরা বরাবরই সরব। তাদের বক্তব্য, দেশে বেকারত্বে হার দিন দিন বাড়ছে, অর্থনৈতিক অগ্রগতিও থমকে আছে। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে বলে অভিযোগ, যেখানে বছরের পর বছর ধরে কোনও নিয়োগ হচ্ছে না। বেকারত্ব নিয়ে বিরোধীদের সেই আক্রমণের মাঝেই বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পিএমও অফিস থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের কথা। ‘মিশন মোডে’ এই ১০ লাখ চাকরিতে নিয়োগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ কোনও ঢিলেমি নয়, অবিলম্বে যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এসব নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে বার বারই বেকারত্ব বৃদ্ধির অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। এর পাশাপাশি বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেও দেশে ও দেশের বাইরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে দশ লক্ষ কর্মসংস্থানের ঘোষণা যে সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটাই উজ্জ্বল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার অর্থ, আট বছরে ১৬ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। সেই চাকরি কবে হবে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনেরও দাবি, ‘এসব প্রতিশ্রুতিতে মানুষ আর বিশ্বাস করবে না। ২০২৪ সালেই জবাব পাবেন মোদি।