বন্যার পানি কমলেও অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে আজ সিলেট আসছেন প্রধানমন্ত্রী
জহিরুল ইসলাম : সিলেটে সুরমা নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। ইতিপূর্বে প্লাবিত এলাকার বেশিরভাগ এখনও পানির নিচে। নগরীর নিন্মাঞ্চলের বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। উপশহরের প্রধান সড়কে এখনও কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত ডুবে যায়। ফলে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট (নগরী) পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমেছে। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। অবশ্য সারি ও লোভাছড়া নদীর পানি কমেছে। সিলেটে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, আজ সুরমা নদীর পানি আরও কমবে। তিনি বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ার কারণে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে পারে। তবে তা মারাত্মক কিছু হবে ন
এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জে প্লাবিত এলাকার পানি ধীরে ধীরে কমছে বলে জানান তিনি।
সোমবার ২০ জুন সকাল ১১টার দিকে সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে ১ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে নদীর পানি কমতে থাকায় নগরীতে প্লাবিত এলাকাগুলোর পানিও কমতে শুরু করেছে। তবে উপশহর, তালতলা, তেররতন, ঘাসিটুলাসহ বিভিন্ন এলাকা এখনও পানি রয়েছে। নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও প্লাবিত এলাকার মানুষ এখনও অন্ধকারে রয়েছেন। এসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম সংকটে রয়েছেন নগরবাসী।
বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে মঙ্গলবার সিলেট আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালেই তিনি সিলেট এসে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী সকাল ৮টায় হেলিকাপ্টারযোগে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিবেন। হেলিকাপ্টার থেকে নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করবেন। এরপর আসবেন সিলেট সার্কিট হাউসে। সেখানে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে বন্যা কবলিত এলাকা পরির্দশনে যেতে পারেন।
এদিকে দিনে দিনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বসতঘরের মানুষ। চরম দুর্দিন কাটছে তাদের। উচু স্থানে থাকা স্বজদের ঘরে আবার কিছু মানুষ রয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। দিনে এক বেলাও তাদের খাবার জুটছে না। দেখা মিলছে না জনপ্রতিনিধিদেরও। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩