অর্থনীতি ডেস্ক : ঈদ-উল-ফিতরে সারাদেশে যত সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, তার অধিকাংশ ছিল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদ ছাড়াও অন্য সময়েও দেশের মহাসড়কগুলোতে সিংহভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী থাকে মোটরসাইকেল। এই অবস্থায় জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় যাতায়াত নির্বিঘœ করা ও দুর্ঘটনা হ্রাসে করণীয় নির্ধারণে এক কর্মশালায় এসব সুপারিশ করা হয়।
এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অংশ নেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
তবে যেসব জাতীয় মহাসড়কের পাশে সার্ভিস রোড রয়েছে, সেসব সার্ভিস রোডে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি।
কর্মশালায় বলা হয়, বিগত তিনটি ঈদ-উল-ফিতরের তুলনায় সর্বশেষ ঈদ-উল-ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা বেড়েছে। এর কারণ মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বৃদ্ধি। বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের তথ্য পর্যালোচনায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার কারণ হিসেবে মোটরসাইকেল চলাচলকে দায়ী করা হয়েছে।
বিআরটিএ জানায়, ২০২১ সালের ঈদ-উল-ফিতরের সময় সারাদেশে ৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৮ জন। প্রতিদিন গড়ে ৭ জন নিহত হয়েছে। আর সর্বশেষ চলতি বছরের ঈদ-উল-ফিতরে সারাদেশে ১০৬টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩