অর্থনীতি ডেস্ক : পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে ঢাকামুখি অভিবাসীদের চাপ কমে যাবে বলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মনে করেন।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত এর মতে, বিশেষ করে যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি আছে সেখানে মানুষ বেশি যাবে। এটাই স্বাভাবিক। ফলে চেষ্টা করতে হবে স্থানীয় পর্যায়ে মানুষ যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে, সে ধরনের সুযোগ তৈরি করা।
সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের সুযোগ সৃষ্টির সবচেয়ে বড় সুযোগ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। সেটি হচ্ছে যোগাযোগ মাধ্যমের অভূতপূর্ব সুবিধা স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি চালু হলে নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রæত যোগাযোগের কারনে প্রয়োজনে মানুষ ঢাকা গেলেও আবার দ্রæত বাড়ি ফিরতে পারবেন। ঢাকায় ভাসমান এবং বাস্তুগড়া মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকার স্থানীয় নানা উদ্যোগ এই উপক‚লের মানুষকে আর ঢাকা-মুখি হতে উৎসাহ দেবে না।
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর কল্যাণে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কৃষি উদ্যোগ বৃদ্ধি, শিল্পাঞ্চল তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনের প্রসার ঘটবে। এ অঞ্চলের মানুষেরা স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী, খামারী; বড় মাপের বিনিয়োগ করেছেন আগ্রহী পরিবহন ব্যবসায়ীরা। বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তারা। তাই জীবিকার তাগিতে রাজধানীমুখি হবেন না অনেক পেশাজীবীরাই।
আমতলী সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, স্বল্প সময়ে যদি কর্মস্থলে যাতায়াত করা যায়, তবে রাজধানীতে নতুন করে বাস্তু-চাপ তো বাড়বেই না বরং এতোদিন যারা বাধ্য হয়ে ঢাকায় থেকেছেন তার অনেক অংশই পদ্মার এপাড়ে এসে আবাস গড়বেন। পদ্মাসেতু চালু হলে বরিশাল শহরে বসবাসকারীরা অনায়াসে অফিস টাইমে ঢাকা পৌঁছতে পারবেন আবার ঢাকা থেকে ফিরবেন। বরিশালের দক্ষিণে সবগুলো নদীর উপর সেতু নির্মিত হওয়াতে পটুয়াখালী ও বরগুনার মানুষ দেড় ঘন্টা সময় বেশি ব্যয় করলেই একই সুবিধা পাবেন। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ১