অর্থনীতি ডেস্ক : বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ ও ব্যাংকঋণ পেলে আম রফতানি আরও বাড়বে। আমের গুণগতমান বজায় রাখার পরামর্শ ফল গবেষকের। গাছে গাছে ঝুলছে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো খিরসাপাত ও ল্যাংড়া আম। মূলত আমে যাতে কোনো দাগ বা আঁচড় না লাগে সে জন্য নেয়া হয়েছে ফ্রæট ব্যাগিং সংরক্ষণ পদ্ধতি।
রাজশাহীতে পরিপক্ব হওয়ায় এখন গাছ থেকে প্যাকেটসহ আম নামিয়ে রফতানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় রঙ ও স্বাদের আম সুইডেন, ইতালি, যুক্তরাজ্যসহ যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতি বছর ২০০-৩০০ মেট্রিক টন আম রফতানি হয়। আশা করা যাচ্ছে, এবার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারি প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণ পেলে আম রফতানি আরও বাড়বে। বিদেশে রফতানিযোগ্য আমের গুণগতমান বজায় রাখতে নানা পরামর্শ ফল গবেষকের।
ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, ভালোভাবে ফল রফতানি করতে চাইলে বেশকিছু বিষয়ের ওপরে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে সুন্দরভাবে প্যাকেজিং ও গ্রেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, উদ্যোক্তরা যাতে সহজে আম রফতানি করতে পারে সে জন্য সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ বলেন, আমাদের আলাদা ল্যাব রয়েছে, যেখানে দ্রæত সময়ের মধ্যে রফতানিযোগ্য আম পরীক্ষা করে বিদেশ পাঠানো হয়। এতে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সূত্র : সময়নিউজ অনলাইন, জাগোনিউজ