পদ্মা সেতু : বদলে যাবে মৎস্যসম্পদসহ দক্ষিণাঞ্চলের চিত্র
অর্থনীতি ডেস্ক : আর কয়েকদিন বাকি স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের। গোটা দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে আনন্দে উদ্ভাসিত; বরগুনা জেলার মানুষের মধ্যে আবেগ, উচ্ছ¡াস, উত্তেজনার ঢেউ সমানে বয়ে যাচ্ছে।
যারা যুগের পর যুগ ধরে একটি সেতুর অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন, তারা আজ আত্মপ্রত্যয়ী। অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মতো কৃষক, মৎস্য ও কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ীরা উচ্ছ¡সিত। কৃষি ও মৎস্য নির্ভর এ জেলার মৎস্য খাতে ‘পদ্মা সেতু’র ব্যাপক প্রভাব পড়বে, মৎস্য অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণাঞ্চলে মৎস্যসম্পদে বিপ্লব ঘটাবে পদ্মা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের সামুদ্রিক মাছের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। ইতোমধ্যেই মৎস্য সেক্টর সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে আনন্দ বইছে। এ বন্দর থেকে ইলিশসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কয়েক দশক ধরে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। অনেক সময় ফেরিঘাটে দিন পার হয়ে যায়। এতে মাছের গুণগত মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভালো দাম পায় না ব্যবসায়ীরা। পদ্মা সেতু চালু হলে মাছ ব্যবসায়ী আসবে আমূল পরিবর্তন। যার সুফল পাবেন ব্যবসায়ী, পাইকার, জেলে ও মৎস্য শ্রমিকরা।
এদিকে শুধু মৎস্য সেক্টরের ভাগ্যই বদলাবে না, বদলে যাবে সড়ক, জনপদ ও পর্যটন সেক্টর। বরগুনার পাথরঘাটায় সর্বত্র পরিবর্তনের শুরু দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মাঝেও বইছে আনন্দ। দিনে দিনেই পাথরঘাটা থেকে ঢাকার ব্যবসায়ী কাজ শেষ করে আবার গন্তব্য ফিরে আসতে পারবে। ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়ক প্রসস্তকরন, ছোট ছোট কালভার্টসহ নানা উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) প্রায় ৪ হাজার ৮০০ টন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি ছিল ইলিশ।
অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করা মাছের ওপর শতকরা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করে সরকার। পদ্মা সেতু চালু হলে অবতরণ কেন্দ্রটিতে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আরো বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পাথরঘাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার বলেন, আমরা মাছ কিনে বিক্রির জন্য দেশে বিভিন্ন বাজারে পাঠাই। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি