এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা
অর্থনীতি ডেস্ক : কোরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন না পেলে পণ্যটির দাম আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।
ভোগ্যপণ্যের বাজারে এক সপ্তাহ ধরে উর্ধ্বমুখী কাঁচা মসলা পণ্য পেঁয়াজের দাম। এই সময়ে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে কমপক্ষে ২০ টাকা। চাহিদা স্থির থাকলেও প্রায় দুই মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় সরবরাহ সংকটে পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য ব্যবসায়ীদের।
খাতুনগঞ্জের কাঁচা মসলা পণ্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই ২-৪ টাকা করে পণ্যটির দাম বেড়ে চলেছে। মূলত আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে না থাকায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে পণ্যটির দাম বেড়েই চলেছে। কোরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন না পেলে পণ্যটির দাম আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।
ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গতকাল রবিবার প্রতিকেজি বড় আকারের দেশি পেঁয়াজ ৫২-৫৫ টাকা ও ছোট আকারের পেঁয়াজ ৪০-৪২ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে বাজারে বড় পেঁয়াজ ৩৫-৩৭ টাকা ও ছোট পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে আমদানিকৃত কোনো পেঁয়াজের সরবরাহ নেই।
কাঁচাপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাজু বলেন, গত ৫ মে’র পর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন (আইপি) পায় নি আমদানিকারকরা। এর দুই সপ্তাহের মধ্যে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ শেষ হয়ে যায়। ফলে মে এর মাঝামাঝি থেকে দেশের বাজারে শুধু দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। দেশের কৃষকরা যাতে ভালো লাভ করতে পারে সরকার তাই আমদানি বন্ধ রাখে। কিন্তু গড় দেড় মাসে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমে আসে। একই সাথে স¤প্রতি সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে কৃষকের অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এতে বাজারে পণ্যটির সরবরাহও কমে গেছে। ফলে গত এক সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩