মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে দুই কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী অব্যাহত রয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে ১৯৯ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। এবিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পাশের আগে আগে শেয়ারবাজারে লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা বাজারের জন্য ইতিবাচক। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক।
মূল্যসূচকের পাশাপাশি
ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসই লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
আর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও প্রায় দুই ডজন প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে লেনদেনের প্রায় পুরো সময়। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর দুই মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচকটি বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়।
লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষদিকে এসে দাম বাড়ার তালিকা থেকে কিছু প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় নাম লেখায়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৯টি বা ৫২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ২৩টির দাম দিনের সর্বনি¤œ পরিমাণ কমেছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বাজারটিতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ২৯ কোটি ৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড। এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি ৫