বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকির ৮৩৭ কোটি টাকা ছাড়
সোহেল রহমান : বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের হিসাবে এ খাতে ভর্তুকির বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৮৩৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। গত ২০২১ সালের ফেব্রæয়ারি থেকে একই বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালের জন্য এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ভর্তুকির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তারপরও এই সীমায় ভর্তুকি বেঁধে রাখা সম্ভব হয়নি। নয় মাসে বিদ্যুৎ খাতে মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর ও চলতি ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তুকির অর্থ ছাড় করার জন্য অর্থ বিভাগের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য তারা ৫ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা চেয়েছে। এর মধ্যে গত নভেম্বরের জন্য ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা, ডিসেম্বরের জন্য ১ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা এবং জানুয়ারির জন্য ২ হাজার ২০৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেট থেকে এই অর্থ পরিশোধ করা হবে। প্রসঙ্গত: আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হয়েছে ।
জানা যায়, প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-এর ভর্তুকির অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। গত ১১ বছরের বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।
সূত্র মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ফার্নেস ওয়েলের দাম ৩০০ ভাগ বেড়েছে। আর এই ফার্নেস ওয়েলই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।
অতিরিক্ত দামে ফার্নেস ওয়েল কেনা হলেও সরকার কম দামে তা বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছে বিক্রি করছে। অন্যদিকে, বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ভর্তুকিও সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমান ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো না হলে আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ আরও অনেক বেড়ে যাবে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’ (সিপিডি)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সরকার প্রতিবছর যে ভর্তুকি প্রদান করে এর সিংহভাগই দেয়া হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। প্রতিবছরই এটি বেড়ে চলেছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০১৬-২০১৭ সালে মোট ভর্তুকির ৫৩ শতাংশ দেয়া হতো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ১