
এবার মেট্রোরেল হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা

অর্থনীতি ডেস্ক : ২০৩০ সালের মধ্যে এই রেল নির্মাণ হবে হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী হয়ে টেকনিক্যাল দিয়ে মিরপুর ১ হয়ে মিরপুর ১০ দিয়ে মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে বনানী ও গুলশান-২ হয়ে নতুন বাজার ও ভাটারা পর্যন্ত।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম রুটের অংশবিশেষ চালুর প্রস্তুতির মধ্যে দ্বিতীয় রুটের ঋণচুক্তি করে ফেলল সরকার। মেট্রোরেল লাইন-৫ নামে এই রুটটি সাভারের হেমায়েতপুর থেকে মিরপুর ও গুলশান হয়ে বাড্ডার ভাটারা পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০৩০ সালের মধ্যে এই রুটটি চালু করার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ১৯ দশমিক ৬ কিলোমিটারের এই লাইন করতে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা আপাতত দেবে ১৪০ কোটি ডলার। ডলারের সঙ্গে টাকার বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এটি বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, এই ঋণের সুদহার ০.৭০ শতাংশ। কনসালট্যান্সি সার্ভিস ০.০১ শতাংশ। ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বুধবার বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি ও জাপান দূতাবাসের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তিটি হয় ভার্চুয়ালি।
ইআরডির বিদায়ী সিনিয়র সচিব (বর্তমানে অর্থসচিব) ফাতিমা ইয়াসমীন এবং বাংলাদেশে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এতে অর্থায়ন করছে। এর মধ্যে সংস্থাটি মোট কত টাকা দেবে, সেটি এখনও চ‚ড়ান্ত হয়নি। প্রথম লাইনটির পুরোটাই উড়াল রেলপথ করা হচ্ছে। তবে নতুন যে রুটটি করা হচ্ছে, সেটির অর্ধেক হবে উড়াল, অর্ধেক পাতালে। আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পথ মাটির নিচ দিয়ে এবং বাকি ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল রেল নির্মাণ করা হবে। এই রেল নির্মাণ হবে হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী হয়ে টেকনিক্যাল দিয়ে মিরপুর ১ হয়ে মিরপুর ১০ দিয়ে মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে বনানী ও গুলশান-২ হয়ে নতুন বাজার ও ভাটারা পর্যন্ত।
এই রুটে স্টেশন ধরা হয়েছে ১৪টি । এগুলো হলো: হেমায়েতপুর, বালিয়ারপুর, মধুমতি, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২, নতুন বাজার ও ভাটারা।
এর মধ্যে উড়াল পথ হবে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার এবং নতুন বাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত। আমিনবাজার থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত পুরোটা যাবে মাটির নিচ দিয়ে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০৩০ সালে প্রতিদিন ৯ লাখ ২৪ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে বলে প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে।
প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন সাড়ে তিন মিনিট পরপর ছাড়বে। ট্রেনটির সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩০৮৮ জন।
মেট্রোরেলের প্রথম রুট এমআরটি-৬-এর কাজ চলছে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। এই রুটটিও জাপানি সহযোগিতা সংস্থার ঋণে হচ্ছে।
এই প্রকল্পে জাইকা থেকে ১৭ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়। অনুমোদিত ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি ১
