ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু তিন ঘণ্টাতেই শেষ ট্রেনের টিকিট, ক্ষোভ যাত্রীদের
অর্থনীতি ডেস্ক : কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার কমলাপুর, ফুলবাড়িয়া, বিমানবন্দর, তেজগাঁও ও ক্যান্টনমেন্ট এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঈদের ট্রেনের টিকেট বিক্রি চলছে, যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ দিন দেওয়া হচ্ছে ৫ জুলাইয়ের টিকেট। একজন যাত্রী একসাথে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারছেন।
সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে টিকেটের জন্য যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। স্টেশনের ১৬টি কাউন্টারের সামনে ছিল টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন।
তাদের অনেকে টিকেট পাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই স্টেশনে ঘাঁটি গেড়েছেন বলে জানালেন। আজিমপুর থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই কমলাপুরে আসা আরমান হোসেন জানালেন, ঈদে তিনি যাবেন নীলফামারী।“আমি আর আমার ভাইয়ের পরিবার ঈদে বাড়ি যাচ্ছি। রাত ১২টার দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি, নীল সাগর এক্সপ্রেসের চারটা টিকিট পেয়েছি। রাতে লাইনে না দাঁড়ালে হয়ত পেতাম না।” কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, কাউন্টারের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ এবং ইন্টারনেটে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। এবার ঈদে প্রতিদিন প্রায় ২৭ হাজার টিকেট বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। টিকেটের অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি হবে বলে জানালেন মাসুদ সারওয়ার। তবে যত যাত্রী টিকেটের জন্য কাউন্টারে ভিড় করেছেন, তাদের সবাইকে দেওয়ার মত টিকেট যে নেই, সে কথা স্বীকার করে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, “অনেকের টিকেট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। টিকেট কালোবাজারি রোধে আমরা সচেষ্ট আছি, কালোবাজারে টিকিট বিক্রির কোনো সুযোগ নাই।”
নিজের এবং বন্ধুর জন্য রাজশাহীর সিল্কসিটি ট্রেনের টিকেট কাটতে ভোরে স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ঢাকার হাবিবুল্লা বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন বাবু।
তিনি বলেন, ভোরে যখন এসেছি, লাইন তখন অনেক বড় ছিল, তাই এখনও টিকিট পাইনি। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ১