দুই সিটি করপোরেশনের হাটগুলো থেকে আয় ২৯ কোটি টাকা করোনাকালের চেয়েও এবার কম রাজস্ব আদায় রাজধানীর পশুর হাটে
অর্থনীতি ডেস্ক : রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে এবার অস্থায়ী ১৭টি পশুর হাট বসানোর টেন্ডার হয়েছে। এছাড়াও গাবতলী ও ডেমরার সারুলিয়ায় দুটি স্থায়ী হাট রয়েছে। এবার দুই সিটি করপোরেশনের হাটগুলো থেকে আয় হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২৩ কোটি টাকা ও উত্তর সিটি করপোরেশন ৬ কোটি টাকা আয় করেছে। বৃহস্পতিবার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। এর আগে ২০২১ সালে এ আয় ছিল ৩৫ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে ছিল ৩৬ কোটি টাকা। গত দুইবারের তুলনায় এবার করোনার প্রকোপ কম থাকলেও এ খাত থেকে আয় কমেছে সিটি করপোরেশনের।
আয় কমার কারণ হিসেবে জানা গেছে, এবার টেন্ডারে প্রতিযোগিতা ছিল না।
এবারের ঈদে পশু বিক্রির হাসিল আদায় থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা উত্তোলন হবে বলে আশা করছেন ইজারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা জানিয়েছেন, গত দুই বছর করোনার মহামারি থাকায় কোরবানির ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু প্রায় বছরখানিক সেই পরিবেশ নেই। এবারের ঈদের পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক। এতে কোরবানির পশু কেনাবেচাও বাড়বে। ২০১৯ সালে রাজধানীতে বসেছিল ২৩টি অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট। হাটগুলো থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন রাজস্ব পেয়েছিল ২২ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। আর ইজারাদার হাসিল আদায় করেছিল প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এসব হাটের হাসিলের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৩ লাখ পশু কেনাবেচা হয় ২০১৯ সালে। এরমধ্যে গরু প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার। এখান থেকে ইজারাদাররা ৮৪ কোটি ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাসিল আদায় করেন। আর ছাগল বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৭৯১টি। ছাগল বিক্রি থেকে আয় করে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা হাসিল আদায় হয়।
একইভাবে ২০১৮ সালে রাজধানীর কোরবানির হাটগুলোতে গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৪১৩টি। এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি ৩