অর্থনীতি ডেস্ক : সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। এই আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ পার হলেই দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে অসংখ্য ছাপড়া ঘর। পুরো সড়কই যেন হয়ে উঠেছে আশ্রয় শিবির।
সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক’শ পরিবার। তাদের সবার ঘরেই বন্যার পানি। কারও ঘর ভেঙেও গেছে পানিতে। সড়কের পাশে আশ্রয় নেয়া অনেকে নিজেদের হাঁস-মুরগি আর গবাদি পশুও নিয়ে উঠেছেন এখানে। এসব ঝুপড়ি ঘরে মানুষ আর পশু করছে যৌথ বাস।
পাগলা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের কৃষক সোহাগ আহমদও আশ্রয় নিয়েছেন সড়কের পাশে। সড়কই হয়ে উঠেছে তার অস্থায়ী ঘর।
সোহাগ বলেন, ‘১৫ দিনেও ঘর থেকে পানি নামেনি। যাওয়ার মতোও আর কোনো জায়গা নেই। তাই সড়কের পাশেই বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছি।
‘রাত হলে গাড়ির শব্দে ঘুমাতে পারি না। আর বৃষ্টি হলে ছাপড়া ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকে। এসব কষ্ট সহ্য করেই এখানে থাকতে হচ্ছে।’
শনিবার এই সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে দেখা যায়, সড়কের ওপরই পানিতে ভিজে যাওয়া ধান শুকাচ্ছেন অনেকে। ভেজা আসবাবপত্র আর লেপ-তোশকও সড়কের ওপর রোদে শুকাতে দিয়েছেন তারা।
গবাদি পশুরও রক্ষণাবেক্ষণ করছেন কেউ কেউ। কয়েকজনকে ছাপড়া ঘরের ভেতরে চুলো জ্বালিয়ে রান্নার আয়োজন করতেও দেখা যায়।
ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত নাজমা বেগম বলেন, ‘আগের বন্যায় বেশিরভাগ ফসল ভাসিয়ে নিয়েছিল। সামান্য যেটুকু ঘরে তোলা গিয়েছিল, তাও এই বন্যায় ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।’
সড়কে শুকাতে দেয়া ধান দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এইগুলা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব ধান থেকে আর চাল পাওয়া যাবে না; গবাদি পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। নিজেরা যে কী খেয়ে বাঁচব, তা বুঝতেছি না।’ সুনামগঞ্জের জানিগাঁও ইউনিয়ন এলাকায় সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছেন কুতুব উদ্দিন। এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি ৩