পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী হারিয়েছে খুলনার ট্রেন, নেই ‘ঈদ স্পেশাল’
অর্থনীতি ডেস্ক : পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানীতে যাওয়া-আসায় খুলনার মানুষের আগ্রহ এখন সড়কে। যাত্রীও কমেছে খুলনা-ঢাকা রুটের ট্রেনগুলোতে।
পদ্মা সেতু চালুর আগে খুলনা থেকে বাসে ঢাকায় যেতে দীর্ঘ সময় লাগত; ফেরি-লঞ্চ পারাপারেও পোহাতে হতো চরম দুর্ভোগ। পদ্মা সেতু চালুর পর সেই দুর্ভোগ কমায় আসন্ন কোরবানি ঈদে ঢাকা থেকে খুলনাগামী বেশিরভাগ লোকজন সেতু দিয়ে বাসে আসবে বলে ধারণা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। সে কারণে এবারের ঈদে খুলনা-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী আমিনুল হক জানান, পদ্মা সেতু চালুর আগে খুলনা থেকে বাসে ঢাকায় যেতে লাগত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। ফেরি অথবা লঞ্চ পারাপারেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এ কারণে অনেকে ভোগান্তি এড়াতে ট্রেনে যাতায়াত করতেন। তবে এতেও সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর খুলনা-ঢাকা যাতায়াতে এখন সময় লাগছে মাত্র ৪ ঘণ্টা। এ কারণে বেশিরভাগ যাত্রীই বাসে আসা-যাওয়া করছেন। এতে মানুষের দুর্ভোগ কমেছে। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা বাড়বে।
খুলনা রেলস্টেশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শামীমুর রহমান জানান, খুলনা থেকে সকালে রাজধানীর উদ্দেশে চিত্রা ও রাতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। চিত্রায় খুলনা থেকে আসন রয়েছে ১৮৫টি; পদ্মা সেতু চালুর আগে এ ট্রেনটির কোনো আসনই ফাঁকা থাকত না। এখন ৭০-৮০টি আসন ফাঁকা থাকছে। যাত্রীও কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। যদিও সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সবগুলো আসনই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবারই ঈদে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। এ কারণে প্রতিবছর দুই ঈদে চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেসের পাশাপাশি একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা হত। তবে এবার বেশিরভাগ মানুষ পদ্মা সেতু হয়ে খুলনায় যাতায়াত করবে। এ কারণে কোনো ঈদস্পেশাল ট্রেন দিচ্ছে না রেলকর্তৃপক্ষ।
এদিকে পদ্মা সেতু চালুর দিন থেকেই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন পরিবহন।
যাত্রী বাড়ায় নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি দেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি এই রুটে বিলাসবহুল বাস চালু করেছে। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩