আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৩
খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোহেল রহমান : সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ আদায়ের মোট বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায়ও খেলাপি ঋণ আদায়ের পরিমাণ কমেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ-এর সঙ্গে সম্পাদিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ (এপিএ)-এর আওতায় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের মোট মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। কিন্তু খেলাপি ঋণ আদায় কার্যক্রম সন্তোষজনক না হওয়ায় ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনটি ব্যাংকের (অগ্রণী, রূপলী ও বেসিক) খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা মোট ১৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়। ফলে ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের সংশোধিত বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে এক বছরে ব্যাংকগুলো মোট খেলাপি ঋণ আদায় করেছে প্রায় ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। এটি মূল লক্ষ্যমাত্রার ৬৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ছয় ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণ আদায় কমেছে ৬০ কোটি টাকা।
গত জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ২০২১-২২ অর্থবছরে খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব প্রাক্কলন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, একক ব্যাংক হিসাবে ছয় ব্যাংকের মধ্যে চারটি ব্যাংক-ই (সোনালী, জনতা, বেসিক ও বিডিবিএল) খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। অপর দুটি ব্যাংক (অগ্রণী ও রূপালী) খেলাপি ঋণ আদায়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করলেও তা মূল লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকটি আদায় করেছে ৩০৬ কোটি টাকা। আদায়ের হার ৬৮ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪৭১ কোটি টাকা (আদায়ের হার ১০৫%)। অর্থাৎ সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ আদায়ের পরিমাণ কমেছে।
জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫০ কোটি টাকা। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩