দাম বাড়বে অত্যাবশ্যকীয় ৫৩ ওষুধের, কর্তৃপক্ষ বলছে ‘আপডেট’
অর্থনীতি ডেস্ক : ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বিষয়টিকে মূল্য বৃদ্ধি বলতে নারাজ। তাদের দাবি, ওষুধে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় এর সঙ্গে সমন্বয় করে ওষুধের দাম কিছুটা ‘আপডেট’ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাইস পলিসি যথাযথভাবে রিভিউ করেই কিছু ওষুধের দাম আপডেট করা হয়েছে, যা অনেক দিন ধরেই হয়নি। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি হয় না অনেক দিন, কিন্তু কাঁচামালের ঠিকই দাম বেড়েছে। কাঁচামালের দাম বাড়ায় অনেক ওষুধ মার্কেট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর উৎপাদনে আগ্রহ তৈরি করা উচিত। তাছাড়া উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো তো লস দিয়ে উৎপাদন করবে না।
উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শুধু কাঁচামালের দামই বাড়েনি, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয়, ডলারের বিনিময়মূল্য, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা কারণেই ওষুধ উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। এসব কারণে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্যারাসিটামল, নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এই ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক টাকা ২০ পয়সা। আবার কিছু ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
এসব প্রসঙ্গে আইয়ুব হোসেন বলেন, পূর্বে প্যারাসিটামল কাঁচামালের মূল্য ছিল ৪৮০ টাকা, সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ টাকা। সে হিসেবে তারা ওষুধের দামটি মানতে পারছিল না। সবগুলো মিলিয়ে সরকারের যে প্রাইস কমিটি আছে, তাদের সিদ্ধান্তক্রমেই সরকার ওষুধের মূল্যটা আপডেট করেছে। বিষয়টি যে মূল্যবৃদ্ধি এ রকম নয়, এটা এমন না যে কেউ চাইল আর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো?
তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরেই ওষুধ উৎপাদকদের কাছ থেকে দাম বাড়ানোর দাবিটি আমাদের কাছে ছিল। আমরা সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে দাম একটু আপডেট করেছি। করোনাকালীন সময়ও প্যারাসিটামলের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু বাজারে প্রোডাক্টের দাম বাড়েনি বা আমরা বাড়াইনি। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ১