অর্থনীতি ডেস্ক : বসিয়ে রাখলেও ডিজেল ভিত্তিক ৭ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে মাসে (ক্যাপাসিটি চার্জ) দিতে হবে ১৭৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬টি বেসরকারি ও ১টি সরকার মালিকানাধীন কোম্পানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে বলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানিয়েছে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ১০টি। যার বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১২৮৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মা মালিকানাধীন ৩ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (৬০ মেগাওয়াট) জন্য কোন ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয় না। অন্য ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও কাড়ি কাড়ি টাকা গুণতে হবে। এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে ইউনিট প্রতি জ্বালানি খরচ পড়ে ২০ টাকার উপরে।
পিডিবি সূত্র জানিয়েছে, ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ৫০ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চালালে দৈনিক প্রায় ২৩ কোটি টাকার ডিজেল প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখলে এই টাকা সাশ্রয় হবে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো খুব কম সময়েই ৫০ শতাংশ হারে চালানোর নজীর রয়েছে। পিডিবির তথ্য মতে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে চালানোর রেকর্ড রয়েছে। ২০ শতাংশ হারে ধরলে দৈনিক সাশ্রয় হবে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব সাইফুল আজাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেখা গেছে, গত ৯ মাসে (জুলাই/২১-মার্চ/২২) ওই ৭টি ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে পরিশোধ করতে হয়েছে। একই সময়ে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীতে দেওয়া ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পিডিবিকে দিতে হয়েছে ১৮ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে চুক্তিতে অনেক অসংগতি রয়েছে। যার ফলে অনেক বেসরকারি কোম্পানি বসে বসে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩