তিন মাসে টাকার মান কমেছে ২০ শতাংশ
অর্থনীতি ডেস্ক : ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে তিন মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। যা ছাড়িয়েছে ভারত, ভিয়েতনামের মতো কাছাকাছি অর্থনীতির দেশগুলোকে। ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে তিন মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। যা ছাড়িয়েছে ভারত, ভিয়েতনামের মতো কাছাকাছি অর্থনীতির দেশগুলোকে।
কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় মার্কিন ডলারের দাম। গত এক দশক টাকার বিপরীতে এই মুদ্রার মান এক রকম স্থিতিশীল থাকলেও শেষ তিনমাসে তা ভেঙেছে সর্বকালের রেকর্ড। কেবল তাই নয়, চাপে ফেলেছে আমদানিনির্ভর ব্যবসাকে। তথ্য-উপাত্তের বিশ্লেষণ বলছে, ১৪ আগস্ট ঋণপত্র নিষ্পত্তির জন্য এক ডলার কিনতে ব্যয় হয়েছে ১১০ টাকা। যা ঠিক ৩ মাস আগেও ছিল ৯২ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে টাকা মান হারিয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর সবশেষ অর্থবছরে কেবল পণ্য কিনতে জিডিপির ১৯ শতাংশ পরিমাণ আমদানি ব্যয় হওয়ায় মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব পড়ছে পৌনে চার শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের হিসাবে এই পতন, আমদানিনির্ভর পণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে পৌনে চার শতাংশ। কেনো হঠাৎ করেই দেখা দিল এমন সঙ্কট? ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৯ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মিলিয়ে আয় আসে মাত্র ৭৩ বিলিয়ন। ফলে, প্রায় ১৯ বিলিয়নের চলতি হিসাবের ঘাটতি তৈরি করে আস্থার সঙ্কট। অন্যদিকে, গত এক বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছাড়লেও তা ব্যর্থ হয় চাহিদা মেটাতে। ফলে সরবরাহ সঙ্কটে ব্যয় মেটানোর মতো ডলার পাওয়া যায় না বাজারে। যে কারণে দরের রেকর্ড ছাড়ায় প্রতিদিন। এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিমভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর ধরে রাখায়, ব্যবধান তৈরি হয় বাজার ব্যবস্থার সাথে। ভারত, পাকিস্তান কিংবা ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করলে গত তিন মাসে ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান হারানোর বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। সূত্র : চ্যানেল২৪