- সাক্ষাৎকারে মসিউল হক চৌধুরী শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে উন্নত করলে বাংলাদেশ যেকোনও লক্ষ্যে সফলভাবে পৌঁছাবে
প্রিয়াংকা আচার্য্য : কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত আছেনমসিউল হক চৌধুরী।
এক সাক্ষাৎকারে আলোচনা হলো- বিশে^ করোনা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থার সংকট মোকাবেলা, বাণিজ্য সম্ভাবনা, মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের অবদান, ডলারের উর্ধ্বগতি, ব্যাংকিং খাতের সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায়, ঋণখেলাপীদের জন্য করণীয়, স্বল্পোন্নত দেশের উত্তরণের পথে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আগামীর বাংলাদেশ সম্পর্কে তার ভাবনা নিয়ে।
শুরুতেই তিনি বলেন, বিশে^ ২০২০ এর মার্চে পর থেকে অতিমারীরর প্রভাব থেকে আমরা এখনও বের হতে পারিনি। করোনার তীব্রতা চলাকালীন বাস্তবতায় প্রণোদনা প্যাকেজগুলো খুব দরকার ছিল। আমরা এক শতাব্দী আগের দিকে তাকালেও দেখতে পাবো, স্পেনিস ফ্লু’র পর অর্থনৈতিক ডিপ্রেশন পৃথিবীকে গ্রাস করেছিল। বিশেষ করে আমেরিকাকে। সেই প্রেক্ষিত হিসেব করলে, বর্তমান যুগে কোন দেশই আর আগের মতো আইসোলেশনে নেই। আমরা একটা গ্লোবাল ভিলেজের মধ্যে বাস করছি। ফলে বিশ^ বাজারের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকেও মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বড় শক্তি হচ্ছে তার ইনহেরেন্ট ডোমেস্টিক ইকোনমি বা অভ্যন্তরীন অর্থনীতি। আনুমানিক ১৮ কোটি লোকের এই দেশের অর্থনীতিতে যেমন চ্যালেহ্জ আছে, তেমনি এর সুবিধাও রয়েছে। পাশর্^বর্তী শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ আফ্রিকার অনেক দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবো, আমাদের এই বিপুল জনবলই অর্থনীতির সম্পদ।
যদি রপ্তানীর প্রসঙ্গে আসি, আমরা এখনও ভিয়েতনাম বা তুরস্কের মতো আপওয়ার্ড লেভেলে পৌঁছাতে পারিনি।মন্দার কারণে মানুষ হাই ভ্যালু ফ্যাশন আইটেম কম কিনতে পারে। তবে বেসিক পোষাক যেমন- টি শার্ট বা ট্রাউজারের চাহিদা কখনও কমবে না। আর আমরা যেহেতু এগুলো প্রস্তুত করি, তাই আমাদেও সুযোগ থাকছেই। এছাড়া চীন করোনার পর এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অনেক জায়গায় এখনও সেখানে লকডাউন চলছে। সুতরাং তাদের বাজার ধরার সম্ভাবনাও আমাদের থাকছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি রোধে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, বিশে^ মূলতঃ মূল্যস্ফীতি করোনাকালীন সময়ের বাই প্রোডাক্ট। কারণ ঐ সময়ে অনেক টাকা ছাপা হয়েছে। অথচ মানুষ তখন লকডাউনের ফলে ঘরে ছিলো। এরপর মানুষ বের হলো, কেনাকাটা শুরু করলো। তখন এই অতিরিক্ত মুদ্রা সরবরাহ অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করলো।
আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যদ্রব্য, তুলা, জ¦ালানী তেলের ক্ষেত্রেচাপ তৈরি হয়েছে। তবে এখনকার মুদ্রাস্ফীতির জন্য করোনাকালীন মুদ্রাসরবরাহ বাড়ানোটাই বেশি দায়ী। যুক্তরাষ্ট্র তখন ৭ ট্রিলিয়ন ডলার করোনা প্যাকেজ দিয়েছে। বৈশি^ক এ বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা তাই আগে থেকেই এমন মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা করছিলেন।
আর এযুদ্ধ সেই প্রভাব নতুন করে আরও বাড়িয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুতই এ যুদ্ধেও পরিসমাপ্তি ঘটবে। কারণ সামনের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে ইউরোপে শীত শুরু হবে। তখন তাদেও বিপুল পরিমান জ¦ালানীর প্রয়োজন হবে। আর রাশিয়া থেকে জ¦ালানি তেল সংগ্রহ করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তবে যুদ্ধ থেমে গেলেই যে সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি কমে যাবে তা নয়।
গত শতাব্দীতেস্পেনিশ ফ্লু মহামারীর প্রভাব প্রায় ৬০ বছর পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে বিশে^ বহুজাতিক তেল, ঔষুধসহ অনেক কোম্পানি দাঁড়িয়ে গেছে। আমি বলবো, আমাদের মূল চালিকা শক্তি এদেশের মানুষ ও তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা। প্রতিবছর ঝড়, বন্যা, নদীভাঙন,জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি আমরা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারি। আর এই সম্মিলিত উদ্যোগই আমাদের যেকোনও খারাপ সময় কাটিয়ে উঠার শক্তি। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি, করোনার টিকা প্রদানে বিশের শীর্ষ স্থানীয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যেখানে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে টিকা নিয়ে নানারকম কুসংস্কার ছড়িয়েছে। টিকা না নিতে বড় বড় আন্দোলন হয়েছে। অথচ আমাদের সীমিত শক্তি দিয়ে আমরা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
টাকার দাম কমছে, ডলার আর রুবল দাম বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে মসিউর রহমান চৌধুরী বলেন, একমাত্র রুবলের দাম ডলারের বিপরীতে বেড়েছে। এছাড়া বিশে^র সকল মূদ্রার মানই কমে গেছে। আমরাও এর মধ্যে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় সেটা কিন্তু খুব বেশি না। প্রবাসীরা আমাদেও বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠায়। যদিও গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। তবুও বিদেশ থেকে ফর্মাল বা ইনফর্মাল চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আসছে। সব রেমিট্যান্স যাতে ফর্মাল চ্যানেলের মাধ্যমে আসে তার ব্যবস্থা করা উচিত।
বেকারত্ব দূরীকরণেকরণীয় সম্পর্কে তিনি জানান, বাংলাদেশে ফরমাল সেক্টরের পাশাপাশি ইনফরমাল সেক্টরেও প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িত। গার্মেন্টেসের পর কোনও খাত যদি দেশে সুগঠিতভাবে দাঁড়াতে পারে তবে তা হলো আইটি সেক্টর। তরুণদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে ইনফরম্যাল সেক্টরই শক্তিশালীভাবে দাঁড়াতে পারে। এর সবচেয়ে ভালো উদাহারণ হচ্ছে ভারত। তারা বিশ^ মানচিত্রে নিজেদের আউটসোর্সিংয়ের একটা জায়গা করে নিয়েছে।এক্ষেত্রে আমাদের শক্তি হচ্ছে- এখনকার তরুণরা ভালো ইংরেজি জানে, তারা সময়ানুবর্তী ও ও বিশ্বস্ততা। উদাহরণস্বরূপ, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় দিক তাদের এই বিশ্বস্ততা। কম পারিশ্রমিকে তারা অতি বিশ্বস্ততা নিয়ে কাজ করে। তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান দিয়ে উপযুক্ত করলে এই পারিশ্রমিকটা বাড়ানো যায়।
শ্রীলঙ্কায় শিক্ষিতের হার শতভাগ। বিশ্বব্যাপী তাদের চাটার্ড একাউন্টেন্ট বেশি। অথচ তারাও রেমিট্যান্স সংকটে ভুগছে।
ফিলিপাইন বিভিন্ন দেশে তাদের জনশক্তি পাঠায়। এজন্য তারা ইংরেজ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে।
বর্তমানে আমাদের সরকারও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জনবল রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করছে। মালয়শিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ আবার লোক নেয়া শুরু করেছে। করোনার পর তাদেরও দেশ পুনর্গঠনে লোক লাগবে।
সুতরাং বেকারত্ব দূরীকরণে ইনফরমাল সেক্টর ও মানবশক্তি রপ্তানিতে অনেক সুযোগ রয়েছে।
দেশে চলমান ব্যাংকিং খাতে সমস্যা মেকাবেলার বিষয়ে মসিউর রহমান বলেন, আমরা যদি গ্লোবালি দেখি, প্রতিটা দেশে ব্যাংকিং খাতে সমস্যা বিদ্যমান আছে বা ছিল। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে যে চ্যালেঞ্জলো তৈরি হয়েছে সেগুলোর কারণ বিশ্লেষকদের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যে জানি। শুধু সমালোচনা করে যাওয়াটা তো সমাধান নয়। আমাদের উচিত হবে সমস্যার সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
সবাই কিন্তু একই কারণে ঋণ খেলাপী হয়নি। অনেকের জেনুইন কারণ আছে। কেউ টাকা নিয়ে অন্যখাতে লাগিয়েছে। এই জিনিষগুলো আমাদেও বিবেচনায় আনতে হবে। আর এটা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও আমাদের ব্যাংকাদের দায়িত্ব। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে যারা ঋণ খেলাপী হচ্ছেন তাদের। তাদের মধ্যে সচেতনতা কাজ করতে হবে যে তারা আর ঋণ খেলাপী থাকবেন না। যেমন-জাপানে ঋণ খেলাপীদের ক্ষেত্রেসামাজিকভাবে একটা স্টিগমা তৈরি করা হয়। পৃথিবীর নানা দেশে ঋণ খেলাপীদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত করার নানা উপায় ইতিমধ্যে প্রচলিত আছে। সুতরাং আমাদের নতুন করে কোনও নীতি তৈরি করতে হবে না। বাইরের দেশের বিভিন্ন সিস্টেমগুলো ধীরে ধীরে ফলো করলেই হবে। তবে আবারও বলবো ঋণ খেলাপীদের নিজেদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে যে তারা এই ব্যারিয়ারে থাকবেন না।
আমাদের বাজেটে ব্যাংকিং খাতে আর কি কি বিষয় থাকা দরকার ছিল এমন প্রশ্নের উত্তওে তিনি বলেন, প্রথমে একটা ডিরেকশন থাকা উচিত ছিল। কারণ বিভিন্নরকম ইন্সেন্টিভাইস প্ল্যান এসেছে এবারের বাজেটে যেমন- অপ্রদর্শিত আয়কে কিভাবে বৈধ করা যায়
যারা ঋণ খেলাপী আছেন তাদের কিভাবে ইন্সেন্টিভাই করে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসা যায় তার একটা পথ দেখানোর প্রয়োজন ছিল। যাতে করে ব্যাংকিং খাতে সুশৃঙ্খলা ফেরত আসে।
এই কাজটাই যার অপ্রদর্শিত আয় তাকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করছে। যার অপ্রদর্শন আছে সেই কিন্তু ইনন্টেসিভাই করছে। যে ঋণখেলাপী করেছিল তাকেও বলতে হবে, ব্যাংকের টাকা ব্যাংকে ফেরত দাও এটা জনগণের টাকা। উনাদের উদব্ধুকরণের একটা ফ্রেম ওয়ার্ক থাকা উচিত ছিল বাজেটে।
যদিও মনিটর পলিসি আছে। তবুও বাজেটে যদি বলা হতো- ঋণখেলাপীদের জন্য এই ছাড়ের ব্যবস্থা আছে, বা এই এই বিষয়গুলো আইনি প্রক্রিয়ায় হবে বা এই এই জিনিসগুলো আমাদের করতে হবে তাহলে খুব ভালো হতো। সঙ্গে আমাদের এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকেও কিভাবে জোরদার করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
আর অর্ডারের ডিসপিউট রেজিলিউশনের মাধ্যমে আউট অফ কোর্ট কিভাবে সেটেলমেন্ট করা যায়- এসব বিষয়গুলো যদি সংজ্ঞায়িত করা যায় তাহলে কোর্টেরও সময় বাঁচবে, ব্যাংকিং খাত সফলতার মুখ দেখবে আর ঋণ খেলাপীরাও নিজের তকমা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে বলে আমি মনে করি।
অনুন্নত দেশে থেকে স্বল্প উন্নত দেশে প্রবেশের মুখে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, যখন একটা বাচ্চা ভূমিষ্ট হয় তখন অনেক ব্যাথার মধ্য দিয়ে যায়। যেকোনও স্ট্রাকচার যতো ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যাবে সেটি ততো বেশি শক্তিশালী হবে।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপ হিসেবে আমরা একটা পাড় হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ইতিমধ্যে ৫০ বছর পাড় করেছি।
আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে প্রকাশ করেছেন। অনুন্নত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশের পথে জনগণের আশানুরূপ প্রত্যাশা পূরণ করেগ্র্যাজুয়ালিই।
আগামীর বাংলাদেশ সম্পর্কে তার আশাবাদ ব্যাক্ত করে মসিউর রহমান চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন দেশে আমরা পণ্য রপ্তানি করছি। আবার বিশ্বের নানাদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরাও অনেক প্রতিকুলতা ছাপিয়ে ভালো করছে। আমাদের ইতিমধ্যে ভিশন ৪১ এবং ভিশন ২১০০ তে ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সময় হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার পরিধি বিস্তৃত করার। বিশ্ব র্যাংকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট অনেক পিছিয়ে আছে কারণ তাদের গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ কম। আর এ বরাদ্দ বাড়ানো শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এজন্যবেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বাড়বে। চিন্তা করার সামর্থ্য বাড়বে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে উদাহারণ হিসেবে দেখতে পারি।আমরা বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য ব্রিটিশ বা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল খুঁজি। আর তারা খোঁজে ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ড স্কুল। তাদের কারিকুলামটাও সেভাবেই তৈরি করা। ফরচুন ফেভারিট কোম্পানিগুলোতে তাই এখন ভারতীয়দেরই প্রভাব বিস্তার করে থাকতে দেখা যায়। আগে আমরা দেখতাম ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেরা সেখানে কাজ করছে কিন্তু এখন ভারতে লেখাপড়া করা লোকরাই সরাসরি কাজ করছে। কারণ তাদের স্কুলিংটাকে তারা ডেভেলপ করতে পেরেছে।
যদি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটা সেভাবে উন্নত করতে পারি, স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করতে পারি তাহলে যেকোনও ভিশনের দিকে অত্যন্ত সফলভাবে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।