কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৫ প্রস্তাব বাদ দেওয়ার সুপারিশ
অর্থনীতি ডেস্ক : কৃষির এক প্রকল্প থেকে বাদ যাচ্ছে ৫ প্রস্তাব। কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ শীর্ষক নতুন এই প্রকল্পে দ্বৈততাসহ নানা কারণে বিভিন্ন অঙ্গে ভেটো দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে এসব প্রস্তাব বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা। এরপর ৬ সেপেটম্বর জারি করা হয়েছে ওই সভার কার্যবিরণী। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, কৃষক-কৃষাণীর আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্তকরণ এবং বারটানের আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিউট্রিশন ল্যাবরেটরি স্থাপনের মাধ্যমে আঞ্চলিক কার্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। এটির মোট ব্যয় ১৭৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। অনুমোদন পেলে চলতি বছর হতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্ল্যানিং কমিশনের সুপারিশ মেনে এগুলো বাদ দেওয়া হবে।
পিইসি সভার সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি থেকে যেসব প্রস্তাব বাদ যাাচ্ছে সেগুলো হলো- উপজেলা পর্যায়ে কৃষক প্রশিক্ষণের সংস্থান থাকায় প্রকল্প থেকে কৃষক প্রশিক্ষণ (জেলা পর্যায়) বাদ দিতে হবে। মাশরুম বিষয়ক একটি স্বতন্ত্র প্রকল্প একনেক অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় মাশরুম চাষ, বিপণন ও সম্প্রসারণ বিষয়ক আবাসিক কৃষক প্রশিক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) হতে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।
এছাড়া মসলা বিষয়ক অপর একটি চলমান প্রকল্পের সাথে দ্বৈততা পরিহারে প্রদর্শন খামার (ডেমোনেস্ট্রেশন) ফসলের সংস্থান ডিপিপি হতে বাদ দিতে হবে। বিদ্যালয়-মাদারাসা প্রাঙ্গণে সবজি ও ফল বাগান স্থাপন খাতের সংস্থান ডিপিপি হতে বাদ দিতে হবে। সুপারিশে আরও বলা হয়, প্রকল্পের বারটান অঙ্গে অফিস সরঞ্জাম খাতে এয়ার কন্ডিশনার ২টি থাকবে এবং পুষ্টি বিষয়ক অ্যাপস তৈরির সংস্থান ডিপিপি হতে বাদ দিতে হবে।
পিইসি সভার সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল হবে চলতি বছরের অক্টোবর হতে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।
কৃষি প্রযুক্তি মেলা ৫০টির পরিবর্তে ৪৯টি কর্ম জেলা বিবেচনায় এবং কৃষক গ্রুপ নির্বাচন, কৃষি উপকরণ রক্ষণাবেক্ষণ ২ হাজার ৯৩৪টির পরিবর্তে (প্রতিটি কর্ম উপজেলায় ৮টি হিসেবে) ১ হাজার ২৪০টি নির্ধারণ করতে হবে। কৃষি প্রযুক্তি মেলার নাম পরিবর্তন করে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা করার কথাও বলা হয়েছে।
পিইসি সভা থেকে আরও বলা হয়, প্রদর্শন খামারের সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সারাদেশে বাস্তবায়নাধীন অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে সমজাতীয় ফসলের দ্বৈততা পরিহার করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষক স্মার্ট কার্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
ডেস্কটপ কম্পিউটার ও প্রিন্টার-৮টি, ল্যাপটপ-২টি, স্ক্যানার ২টি, এয়ার কন্ডিশনার ২টি এবং ল্যাপটপ মাল্টিমিডিয়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র ২টি মাল্টিমিডিয়ার সংস্থান রাখতে হবে। এসব সরঞ্জাম শুধুমাত্র প্রকল্প অফিসে ব্যবহার হবে। এছাড়া ইন্টারনেট খাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ১০ লাখ টাকা এবং অডিও-ভিডিও নির্মাণ খাতে ১০ লাখ টাকার সংস্থান রাখার কথাও সুপারিশে বলা হয়। সূত্র : সারাবাংলা