উন্নত দেশ গড়তে ব্যবসা সহজ ও গতিশীল করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
সোহেল রহমান : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদের ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এজন্য পণ্য ও সেবা উৎপাদনের পাশাপাশি এগুলোর মান উন্নত করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটি (এনটিএফসি)-এর ৬ষ্ঠ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। আমাদের ২০২৬ সাল থেকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধা আমাদের থাকবে না। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের তৈরী হতে হবে। আমাদের হাতে সময় অনেক কম। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের হাতে কোন বিকল্প নেই। এজন্য বাণিজ্য সহজ করতে হবে, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবার জন্য ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোড ম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ কার্যক্রমকে আরও সহজ ও গতিশীল করতে হবে। বিশেষ করে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি এবং ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন। সীমান্ত বাণিজ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে আধুনিক করার বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বিদ্যমান বাণিজ্য নীতি, আইন সংস্কার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটি (এনটিএফসি)’র সভা বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ৫টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালের সভায় দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে পণ্যের গুনগতমান টেষ্ট, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়া করণ, বিভিন্ন বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি সহজ ও দ্রুত করণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিবহন সহজ, সিঙ্গেল উইন্েডা কার্যকর, আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস, রপ্তানি পণ্যের দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা, সমুদ্র বন্দর, স্থল বন্দুর ও আকাশ পথের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন করা, কানেকটিভিটি সহজ করা, পণ্য পরিবহনে রেল পথকে আধুনিক ও সহজ করা, রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সভায় বিগত সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তসমুহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এ সকল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা ও অগ্রগতি পর্যালোচনার সুবিধার জন্য বছরে একাধিক সভা করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।