৩ অক্টোবরের পর প্রথম-দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অর্থনীতি ডেস্ক : হোটেল র্যাডিসন-বøæতে আয়োজিত ওয়ার্কশপে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আগামী ৩ অক্টোবরের পর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, যারা এখনো প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেন নাই, তারা ৩ অক্টোবরের পর আর ভ্যাকসিন (টিকা) পাবেন না। অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ করার আগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ গণহারে সবাইকে দেওয়া হবে। এরপর আর দেওয়া যাবে না। এরপর প্রথম ডোজ টিকা আর পাওয়াই যাবে না। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়াও সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নেয়নি। ৯৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। এছাড়াও ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গেছে। তবে, এখনো সোয়া ২ কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে ৪ কোটির বেশি টিকা দেওয়া এখনো প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মাস্ক পরতে হবে, যাতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বিশেষ ক্যাম্পেইন, চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
স¤প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হয়েছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকাদান। এবার ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। সব মিলিয়ে দেশে ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ জন শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।
সচিব বলেন, আগামী ১১ তারিখ (অক্টোবর) থেকে পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান শুরু করবো। এতে কমিউনিটি পর্যায়ে আমাদের শিশুদের কাছে টিকা পৌঁছে যাবে। এর মাধ্যমে টিকা না পাওয়া বাকি শিশুরা আমাদের কাভারেজে চলে আসবে।
তিনি বলেন, অনেক দেশেই বাচ্চাদের টিকাদান শুরু হয়নি, আমরা শুরু করেছি। প্রথম থেকেই টিকা প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বরাবর আবেদন করে রেখেছিলাম, আমরা অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কার্যকর শুরু করেছি। এর আগে থেকেই আমরা টিকার সোর্স নিশ্চিত করে রেখেছি। আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের মানুষের মধ্যে একটা অভ্যাস গড়ে উঠেছে, করোনা প্রকোপ বেড়ে গেলেই তাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এমন মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।
টিকাদানের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত করোনায় যারা মারা যাচ্ছেন, তারা টিকা নেননি। এমনকি টিকা না নিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তারা অনেকটাই ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছেন। সূত্র : জাগোনিউ