মাসুদ আলম, হাসিব খান : গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসা চলছে। দু’জনের শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। তাই ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার সকালে দুজনের ড্রেসিং করা হয়েছে। রনির দুই হাত, কান, শ্বাসনালী ও মুখমÐলের কিছু অংশসহ শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ অপর ৩ পুলিশ কনস্টেবলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রনি ও জিল্লুর রহমানকে রনির দেহের ২৫ শতাংশ ও জিল্লুর রহমানের দেহের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। কাউকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তবে রনির অবস্থা একটু বেশি জটিল।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ডিসি অপরাধ (উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদনটি জমা দিতে বলা হয়েছে। শনিবার সকালে দগ্ধদের খোঁজ খবর নিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম হাসপাতালে যান।
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে ৫ জন দগ্ধ হন। তারা হলেন- মিরাক্কেল ক্ষ্যত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান ও গাছা থানার কনস্টেবল ইমরান হোসেন।
এ ঘটনায় দগ্ধদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রনি ও জিল্লুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়।