• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

অমৃত কথা

রূপকথার গল্পে ফেরাবে তাজহাট জমিদার বাড়ি

প্রকাশের সময় : September 17, 2022, 8:35 pm

আপডেট সময় : September 17, 2022 at 8:47 pm

অর্থনীতি ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকে পড়া আর টেলিভিশনের পর্দায় দেখা রূপকথার গল্পের মতোই যেন তাজহাট জমিদার বাড়ির ইতিহাস। প্রাচীন রঙ্গপুরে (বর্তমান রংপুর) এক সময় ব্যবসা হতো হীরা, মানিক ও জহরতের। বিক্রি হতো নামিদামি হীরা, মানিক ও জহরত খচিত তাজ বা টুপির। আর এই স্বর্ণ ব্যবসা শুরু করেছিলেন মান্না লাল রায়। যিনি সুদূর পাঞ্জাব থেকে রঙ্গপুরের মাহিগঞ্জে এসেছিলেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে।
সেই মান্না লাল রায়ের হাত ধরেই মাহিগঞ্জে বসত জমজমাট তাজের হাট। সেখানে পাওয়া যেত রাজা বাদশাহর চাহিদানুযায়ী অনেক মূল্যবান তাজ। এই তাজ বিক্রির হাটই সময়ের পরিক্রমায় প্রসিদ্ধি লাভ করে তাজহাট নামে। যা বর্তমান রংপুর মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে।
এই তাজহাট বাজারের কোল ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন ঐতিহ্যের স্মারক তাজহাট জমিদার বাড়িটি। যার মূল ভবনটি ঐতিহাসিক এক প্রাচীন নিদর্শন। বর্তমান তাজহাট বাজার হতে উত্তর দিক দিয়ে প্রধান ফটক অতিক্রম করে ক্রমান্বয়ে পশ্চিমে কয়েক’শ গজ পেরিয়ে জমিদার বাড়ির প্রধান প্রবেশ পথে আসা যায়।
রঙ্গপুরের প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা যায়, মান্না লাল রায়ের তাজ বিক্রির হাট থেকে তাজহাটের নামকরণ হয়। আর সেই থেকেই জমিদার বাড়িটি পরিচিতি পায় তাজহাট জমিদার বাড়ি হিসেবে। এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন মান্না লাল রায়ের বংশধর রাজা গোবিন্দ লালের পুত্র গোপাল লাল রায় (জি এল রায়)। যিনি পরাক্রমশালী শাসক হিসেবে উনবিংশ শতাব্দীতে বৃহত্তর রংপুর শাসন করেন। তার শাসনামলেই ১০ বছর (১৯০৮-১৯১৭) সময় ধরে বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজ খচিত ভবনটি নির্মাণ করে প্রায় ২ হাজার নির্মাণশিল্পী। ৭৬.২০ মিটার দৈর্ঘ্য ভবনটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিদেশি সাদা মার্বেল পাথর। এতে নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় দেড় কোটি টাকা। বর্তমানে রংপুর মহানগরীতে হাতে গোনা যে কয়টা বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম তাজহাট জমিদার বাড়ি। আর এর ভেতরে গড়ে তোলা প্রতœতত্ত¡ জাদুঘরটি। তাজহাট জমিদার বাড়িটি কোলাহলমুক্ত ছায়াঘেরা সবুজ সমারোহে পরিবেষ্টিত আকর্ষণীয় পরিবেশে অবস্থিত। যার চারদিকে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ শোভা, ফুলের বাগান, উত্তর ও দক্ষিণে কামিনী, মেহগনি, কাঁঠাল ও আম বাগান। রয়েছে সমসাময়িককালে খনন করা বিশাল আকৃতির চারটি পুকুর।
দূর থেকে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের মতো দেখতে জমিদার বাড়ির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রয়েছে মহারাজা গোপাল লাল রায়ের ব্যবহৃত নানা জিনিস। জমিদার বাড়িটি লাল ইট, শ্বেতপাথর ও চুনাপাথর দ্বারা নির্মিত হওয়ায় দেখতে চমৎকার। চারতলা বিশিষ্ট বাড়ির ভেতরে রয়েছে অসংখ্য কক্ষ, গোসলখানা ও অতিথি শয়নশালা।
দেখা গেছে, ভবনের কেন্দ্রীয় সিঁড়িটি গড়া সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে। জমিদার বাড়ির সম্মুখভাগ ৭৬ মিটার। সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি প্রশস্ত কেন্দ্রীয় সিঁড়িটি সরাসরি দোতলায় চলে গেছে। সেখানে দুটি বড় কক্ষ জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জাদুঘরে রয়েছে পুরোনো পাÐুলিপি, সম্রাট-কবিদের হাতে লেখা চিঠি, যা দর্শনার্থীদের ফিরে নিয়ে যাবে রাজা-বাদশাহদের আমলে। আর নিচের তিনটি ছোট-বড় কক্ষ অফিসের জন্য। জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে ঐতিহ্যবাহী এ জমিদার বাড়িটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ৫৫ একর জমিসহ এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউটকে দেওয়া হয়। এরপর ১৯৮৪ সালের ১৮ মার্চ রংপুরের সন্তান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বাড়িটিকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন হিসেবে উদ্বোধন করেন। এতে আইনি সেবা পেতে রংপুর অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমে আসে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্টে যায় জমিদার বাড়ির গল্প। ১৯৯১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে হাইকোর্ট ডিভিশন ওঠে গেলে ১৯৯৫ সালে রাজবাড়িটি ১৫ একর জমিসহ প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৫ সালে তাজহাট জমিদার বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর। জাদুঘরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি সরকারের তৎকালীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। সূত্র : ঢাকাপোস্ট

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)