ডিসি-এসপিদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে হৈচৈ : সিইসি
এস.ইসলাম জয় : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিয়ে গেলে আমরা কী করবো? এটা বিষয় নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা। এনআইডির জন্য আলাদা দপ্তর।
মঙ্গলবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক, সেটা হচ্ছে ওদের ওয়ার্ক। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ভোটার তালিকা শুদ্ধ আছে কিনা, যদি ইভিএমে ভোট হয় আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে কি-না, এগুলো আমাদের বিষয়। আইন তো এখনও হয়নি। নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি চলে গেলে তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার এবং পার্লামেন্টের বিষয়। এখানে আমরা কী করবো? কাজেই এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনও কারণ নেই। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা।
সিইসি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেবো। আমাদের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকবে। আমরা ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করবো। এনআইডি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির সংযোগের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির বাই প্রোডাক্ট কিন্তু ভোটার তালিকা নয়। আমি নিউজে পড়লাম, যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে। এখন সরকার যদি একটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে, সেখানে আমাদের প্রশংসা করা দরকার। এখন নির্বাচনটা যদি নিয়ে যেতে চায়, যে নির্বাচনটা অন্য কেউ করবে, তখন আমি কথা বলবো। এনআইডি যদি চলে যায়, এতে নির্বাচন প্রসেস যদি বিঘিœত হয়, তখন আমরা দেখবো।
এদিকে গত শনিবার ডিসি-এসপিদের সাথে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আসন্ন জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন নির্বাচন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিসি-এসপিরা অংশ নেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে করণী বিষয় সিইসি এক বৈঠকের আয়োজন করে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের দিন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) হইচই করার বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এ নিয়ে খামোখা এত কথা বলার প্রয়োজন নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন এটা নিয়ে একটুও বলবো না। এগুলো নিয়ে খামোখা এত বলার কোনও প্রয়োজন নেই। আগামীর দিকে তাকান। ওখানে কিছু হয়নি। হয়তো সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনার কোনও কারণ নেই। এটা নিয়ে আবার কথা বলতে চাচ্ছি না। এটা নিয়ে আপনারাও আর মাথা ঘামাবেন না। আমরাও মাথা ঘামাবো না। তারা জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রসঙ্গ তুললে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একই সঙ্গে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আচরণবিধি প্রতিপালনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকে এই বক্তব্যের পর হইচই করতে থাকেন। একপর্যায়ে এই কমিশনার ডায়াস ছেড়ে নিজ আসনে ফিরে যান।