চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এস.ইসলাম জয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে আরও খাদ্য উৎপাদনের আহŸান জানিয়ে বলেছেন, বিশ্ব স¤প্রদায় আগামী বছরে একটি গভীর সংকটের আশঙ্কা করছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এটি এখন আমাদের জন্য অনিবার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ছয় প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৩৮৬ কোটি ৪৮ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ইমপ্রæভিং দ্যা রিলায়াবিলিটি এন্ড সেফটি অন ন্যাশনাল হাইওয়ে কোরিডোরস অভ বাংলাদেশ বাই ইনট্রোডাকশান অভ ইনটালিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) প্রকল্প এবং ঘোনাপাড়া হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ (শেখ লুৎফর রহমান সেতু অ্যাপ্রোচসহ) সড়কাংশ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বগুড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বাবিবা) ফ্লাইং স্কুল’কে কেন্দ্রীয় বৈমানিক মান সনদ ও ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রূপান্তর প্রকল্প, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি প্রকল্পসমূহ। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে প্রকল্পগুলো আমরা হাতে নিচ্ছি, প্রত্যেকটা প্রকল্প গ্রহণের আগে আমাদের কাছে অনেক ধরনের প্রস্তাব আসে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেখানে আমাদের যেটা করতে হবে, কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে আমার দেশের মানুষের উপকার হবে, তার থেকে আমরা কিছু অর্জন করতে পারবো সেটা দেখতে হবে। অহেতুক একটা প্রকল্প নিয়ে অনেকগুলো টাকা পেলাম দেখে সেখানে ঝাঁপ দেওয়ার দরকার নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে প্রকল্প থেকে রিটার্ন আসবে, আমরা কিছু আহরণ করতে পারবো, দেশের উন্নয়নে লাগাতে পারবো, উন্নয়নের কাজে লাগবে, সে ধরনের প্রকল্পই আমরা গ্রহণ করবো। পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশ নেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।