বাংলাদেশ হতে বেশি হারে পাট ও পাটপণ্য আমদানির আহ্বান : ডিসিসিআইর সভাপতির
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সাথে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি অদ্য মঙ্গলবার ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বার সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই বাংলাদেশ ও ইরান ডি-৮-এর সদস্য এবং সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ, এভিয়েশন প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে দেশ দুটো একযোগে কাজ করতে পারে। দুদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স¤প্রসারণে তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সাথে ইরানের চাবাহার বন্দরের সরাসরি জাহাকীকরণ ব্যবস্থা চালুকরণে উদ্যোগী হওয়ার আহŸান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ০.৩০ এবং ১৮.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোষাক, কাঁচা পাট ও পাট পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, চা, ঔষধ, সিরামিক প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ হতে আরো বেশি হারে আমদানির জন্য ইরানের উদ্যোক্তাদের তিনি প্রতি আহŸান জানান।
ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি বলেন, সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও আঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ স¤প্রসারণে তিনি দুদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিটুবি সেশন আয়োজন ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আদান-প্রদানের প্রস্তাব করেন। তিনি জানান বাংলাদেশের কৃষিখাতের আধুনিকায়ন এবং কৃষি পণ্যের বহুমুখীকরণে একযোগে কাজ করতে ইরান অত্যন্ত আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাই দেশদুটোর অর্থনীতিকে আরো বেগবান করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, তাই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহে আলোচনার মাধ্যমে দ্রæততর নিরসন করা প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।