বায়ু দূষণে শীর্ষে বাংলাদেশ প্রতিরোধে উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে
অর্থনীতি ডেস্ক : ২০১৮ সাল থেকে বায়ু দূষণে টানা শীর্ষে বাংলাদেশ। আর রাজধানী ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুমান পরিমাপক সূচক আইকিউএয়ারে’র প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া যায়। চলতি বছরের দশ মাসেও এই পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা গেলেও দূষণ ঠেকাতে সরকারি উদ্যোগে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা আইন ও কিছু ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ দেখা গেলেও থামছে না জীবনবিধ্বংসী এই দূষণ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর ছয় মাস। তবে গবেষণা বলছে, টানা দূষণের ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত সর্বশেষ ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’ অনুযায়ী বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। আর রাজধানী ঢাকায় এটি প্রায় সাত বছর সাত মাস।
লাইফ ইনডেক্সের গবেষণা বলছে, ১৯৯৮ সালে বায়ু দূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছিল প্রায় দুই বছর আট মাস, ২০১৯ সালে সেটি পাঁচ বছর চার মাসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সবকটি জেলাতেই বায়ু দূষণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী আদর্শ মানমাত্রা থেকে অন্তত তিন গুণ বেশি ছিল।
আইকিউএয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম (পার্টিকুলেট ম্যাটার) ২.৫ এর মাত্রা ৯৭.১ নিয়ে সর্বাধিক দূষিত দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর শহরের তালিকায় পিএম ২.৫ মাত্রা ৮৩.৩ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। ২০১৯ সালে পিএম ২.৫ মাত্রা ৮৩.৩ নিয়ে প্রথম অবস্থানে বাংলাদেশ আর একই ঘনত্বের পিএম নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। ২০২০ সালে লকডাউন চলাকালীন সময়েও পিএম ২.৫ এর ঘনত্ব ৭৭.১ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে বাংলাদেশ আর একই পিএম মাত্রা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। ২০২১ সালে পিএম ২.৫ এর মাত্রা ৭৬.৯ নিয়ে প্রথম অবস্থানে বাংলাদেশ আর পিএম ২.৫ এর মাত্রা ৭৮.১ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী, বাতাসের প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ পার্টিকুলেট ম্যাটার ১০-এর কম থাকলে সেটি আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে লক্ষণীয়, ২০১৮ সালের তুলনায় সমগ্র দেশ ও রাজধানীর বাতাসে থাকা পিএম ২.৫ এর মাত্রা কিছুটা কমলেও তা আদর্শ মাত্রার সাত গুণেরও বেশি। চলতি বছরেও যার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
অন্যান্য বছর শুষ্ক মৌসুমে বায়ু দূষণ বেড়ে গেলেও এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বায়ু দূষণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা পরিবেশবিদদের। চলতি বছর একাধিকবার বায়ু দূষণের শীর্ষে চলে আসে ঢাকা। ২০২১ সালের প্রথম তিনমাস ৪৭.১ শতাংশ ঘণ্টা ঢাকার বাতাস ভেরি আনহেলদি বা খুব বিপদজনক অবস্থায় ছিল। এবং এসময়ে ঢাকায় টানা এক ঘণ্টাও বায়ুমান কখনোই ভালো অবস্থায় যায়নি। আর চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বের ১০০টি প্রধান শহরের মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা ছিল শীর্ষে।
আইকিউএয়ারের হিসাব অনুযায়ী, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ভালো বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে মধ্যম মানের এবং ১০১-১৫০ হলে বিপদসীমায় আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-৫০০ হলে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম বায়ুদূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার কাজ করছেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, অক্টোবরের শুরু থেকে বায়ু দূষণ পরিস্থিতি ভালো ছিল না। ফিল্টার গাঢ় বাদামি থেকে প্রায় কালো ছিল। কিন্তু দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হওয়ার পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ভালো হতে থাকে। এর পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও বায়ু দূষণ কমার অন্যতম কারণ। ছুটিতে ইটভাটাসহ অন্য কলকারখানা বন্ধ থাকার কারণেও কিছুটা দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যায়। মানুষ কম থাকলে জ্বালানি খরচ কমে যায়। এসি কম চলে, বিদ্যুতের ব্যবহারও কমে যায়। এছাড়া বায়ুদূষণ করে এমন গাড়ির সংখ্যাও কমে যায় সড়কে।
অতিরিক্ত মানুষ ও যানবাহনের কারণেই তাহলে ঢাকার দূষণ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি শহরে মানুষ আর গাড়ি দুইই থাকবে। দরকার মান নিয়ন্ত্রণ। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি যানবাহনেরও মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেখা যায় পনেরো বিশ বছর আগেও ঢাকায় কালো ধোঁয়া নির্গতকারী গাড়ি নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করা হত। এখন কালো ধোঁয়া নিঃসরণ করে এমন গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত মোটরসাইকেল। এগুলো যেহেতু ফসিল ফুয়েলে চলে তাই কার্বন নিঃসরণ করে। গত কয়েক বছরে ঢাকায় মোটরসাইকেল অন্তত দশগুণ বেড়েছে বলে খালি চোখেই দেখা যায়। এগুলো জ্বালানি পুরোপুরি পোড়াতে পারে না। ফলে অর্ধপোড়া ধোঁয়া বাতাসে ছাড়ে যা বায়ু দূষণ বাড়াচ্ছে।
ঢাকায় সারা বছর দূষণমুক্ত বায়ু পেতে কী করা প্রয়োজন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর জন্য সবার আগে দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা। গত পাঁচ বছরে কেন এমন হল সেই এসেসমেন্ট যেমন দরকার, তেমনি আগামী পাঁচ বছরে পরিস্থিতি থেকে উন্নতির জন্য কী করা লাগবে সেই কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। কিন্তু দেশে সেই পরিকল্পনা দেখা যায় না।
পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণের জন্য শহরের অভ্যন্তরের কার্যক্রম যেমন বর্জ্য পোড়ানো, গাড়ির দূষণ দায়ী, তেমনি ঢাকার আশপাশের ইন্ডাস্ট্রির ধোঁয়া, ইটভাটার ধোঁয়া ইত্যাদিও দায়ী। আমাদের লক্ষ্য ইটভাটার সংখ্যা কমানো। মাটি পুড়িয়ে ইটের পরিবর্তে সিমেন্টের বøক ব্যবহার করতে শুরু করলেই ইটভটার প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। এভাবে ঢাকার বাতাসে বড় একটা দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।
এছাড়া শহরের মধ্যে কালো ধোঁয়া বের হয় এমন গাড়ি চলে স্বীকার করে তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাক, বাস, কোস্টারের সংখ্যা অনেক যা বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। সিদ্ধান্ত ছিল পনেরো বছরের বেশি পুরনো যানবাহন দূষণ বেশি করে তাই এগুলো চলতে দেওয়া হবে না কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কমিটি থাকার পরেও এটি সম্ভব হয়নি। কিন্তু কাজটি করতে হবে। স¤প্রতি বিআরটিএ (বাংলাদেশে রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) থেকে ঢাকাসহ মোট পাঁচটি বিভাগীয় শহরে ভেহিকল এমিশন সার্টিফিকেট সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সার্টিফিকেট ছাড়া দেশের সড়কে কোনো যানাবাহন চলতে পারবে না। এছাড়া ঢাকার বায়ু দূষণের বড় কারণ নির্মাণকাজ। নির্মাণ কাজ ঢেকে রাখা ও পানি ছিটানোর কথা থাকলেও তা মানা হয় না। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ চালু হয়েছে। এটি কার্যকর করতে পারলে দূষণ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রেণে আসবে।
এদিকে ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ানোয় অতিরিক্ত মোটসাইকেল থেকে নিঃসরিত ধোঁয়ার বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদফতর এখনই কিছু ভাবছে না। জানা গেল, মোটরসাইকেল থেকে শব্দ দূষণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে কাজ চললেও বায়ু দূষণের বিষয়টি এখনও সেভাবে সামনে আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু দূষণের কারণে দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে রাজধানীবাসী। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানারকম স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছে মানুষ।
পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন বলেন, বর্ষা মৌসুমে বায়ু বঙ্গোপসাগর হতে বাংলাদেশে উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যার কারণে সাগর থেকে দূষণহীন বায়ু বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহের কারণে বর্ষা মৌসুমে দেশের বায়ুমান অবস্থার উন্নতি হয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে এসময় ঢাকাসহ সারাদেশে ইটভাটা এবং নির্মাণকার্যক্রম, বর্জ্য পোড়ানো ও বর্জ্য সৃষ্ট বাযু দূষণ ও যানবাহন সৃষ্ট বায়ু দূষণের পরিমান বেড়ে যায়।
বায়ু দূষণের জন্য শুধু অভ্যন্তরীণ কারণই নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক দূষণকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই বায়ুমান অতিমাত্রায় খারাপ হয়। ভারতবর্ষের বায়ুদূষণযুক্ত বায়ু প্রবাহিত হয়ে হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশে উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ শুষ্ক মৌসুমে আন্তসীমা বায়ুদূষণের এর ফলে দেশের বায়ু দূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। বিশ্বব্যাংকের মতে স্থানভেদে এ দূষণের পরিমান ২০-৪০% পর্যন্ত হয়।
সরকার ঢাকাসহ সারাদেশের বায়ুমান নিরাপদ মাত্রায় রাখতে ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন, ২০১৩ বাস্তবায়ন করছে। এ আইন বাস্তবায়নের ইতিমধ্যে ঢাকার আশেপাশে সবঅবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে। এছাড়াও সরকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বতন্ত্র বায়ুদূষণ বিধিমালা, ২০২২ জারি ও বাস্তবাযন করছে। নতুন এই বিধিমালার মাধ্যমে সরকারের সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবনের মাধ্যমে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এছাড়া বর্জ্যসৃষ্ট দূষণ বিবেচনা করে ইতিমধ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১; জারি ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের মাধ্যমে সৃষ্ট বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১৯ সালে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি ও বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া ইটের ব্যবহার কমাতে সরকারি নির্মাণকাজে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে শতভাগ বøক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। গত জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৬০৪টি অভিযান পরিচালনা করে ৮২৯টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যানবাহন থেকে সৃষ্ট বায়দূষণ নিয়ন্ত্রণে ৭৫টি অভিযান চালানো হয়েছে।
অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের মাধ্যমে সৃষ্ট বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন (এসআরও) জারি করা হয়েছে এবং ২৬টি মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে। অবৈধ টায়ার পাইরোলাইসিস এবং লেড এসিড ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, স্টোন ক্রাশার ইত্যাদি বায়ুদূষকারী অবৈধ প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশে ১৬টি সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরবীক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫টি কম্প্যাক্ট এয়ার কোয়ালিটি মনটরিং স্টেশন চালু করা হয়েছে। এ সকল ঈঅগঝ -এর মাধ্যমে দেশব্যাপী বায়ুর মান পরিবীক্ষণ করা করে দূষিত এলাকা চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিত এলাকাসমূহের দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বসহকারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া দ্রæতগতির বিআরটি লাইন ও মেট্রোরেল শিগগিরই চালু হলে নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমবে আশা করা যায়। সূত্র : সারাবাংলা