পাম অয়েলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি
অর্থনীতি ডেস্ক : ফিউচার মার্কেটে শুক্রবার শেষ হওয়া সপ্তাহে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম রেকর্ড ৭ শতাংশ বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগমনে ভোজ্যতেল পণ্যটির উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ওই দিন বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে বেঞ্চমার্ক পাম অয়েলের জানুয়ারির সরবরাহ মূল্য ৪ রিঙ্গিত বা শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪১০০ রিঙ্গিত (মালয়েশীয় মুদ্রা) বা ৮৬৫ দশমিক ৭১ ডলার (যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা)।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া। চলতি বছরের শেষদিকে বর্ষা মৌসুমে ঝড় ও বন্যার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। সাধারণত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এ সময় স্থায়ী হয়। ফলে পাম ফল সংগ্রহের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাতে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা এবং ডলারের বিপরীতে দুর্বল রিঙ্গিত পাম অয়েলের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে রপ্তানি কমেছে। ফলে মুনাফাও হ্রাস পেয়েছে। গত ১ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
শিল্প কর্মকর্তারা বলছেন, ফিউচার মার্কেটে পাম অয়েলের দর বাড়ছে। বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে উৎপাদন কমায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে খাদ্য ও বায়োফুয়েলে ব্যবহারের জন্য পণ্যটির ব্যবহারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র : চ্যানেল২৪