অর্থনীতি ডেস্ক : রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টানাপোড়ন সত্তে¡ও লাভের ঝুড়ি ভারী হচ্ছে মস্কোর। এরই মধ্যে ইউরোপজুড়ে দেখা দিয়েছে নানা সংকট। এর সমাধানে রাশিয়ার সঙ্গে ভিন্ন পথে বাণিজ্য চালাচ্ছে কয়েকটি দেশ।
আর যুদ্ধের মধ্যেও বাণিজ্যে সফলতার হাসি চওড়া হচ্ছে মস্কোর মুখে। বাণিজ্যে বসতী লক্ষী। যখন লক্ষীর ঘরে আসে হানা, তখন ছারখার হতে সময় লাগে না আশপাশ। তাই তো ইউক্রেন যুদ্ধের দামামায় পুড়ছে বিশ্ব, পুড়ছে বাণিজ্যের সব গ্রাফ। বদলে যাচ্ছে অর্থের চাকা। ২০২০ সালে প্রায় ২২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল রাশিয়া। চীন, জার্মানি, কোরিয়াসহ উন্নত দেশ থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ, ওষুধ আর কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট নানা ক্ষুদ্র পণ্যের গন্তব্য এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় পর নাছোড়বান্দা দেশটির যুদ্ধ জয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক জয়টা যেন ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে। নিষেধাজ্ঞা দেয়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ কিংবা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এখন কনকনে বৈকাল লেকের হাওয়া।
ইউরোপজুড়ে জ্বালানি সংকটে একপ্রকার না খেয়ে থাকা কিংবা জীবনমান কমিয়ে চলছে ইউরোপীয়দের। যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি তো আরো ভয়াবহ। টিকে থাকার লড়াইয়ে দেশটিতে চলা সাপ লুডুর খেলায় ইউক্রেন যুদ্ধ সবচেয়ে বড় নিয়ামক।
তাই ভিন্ন চ্যানেলে নানা দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। লাভ-ক্ষতির অংকে সেন্ট পিটার্সবার্গকে এড়িয়ে চলা জাহাজগুলো নতুন দিশারীর খোঁজে। তবে মিলছে না ফল।
স্টেট দুমা এনার্জি কমিটির ফার্স্ট ডেপুটি চেয়ারম্যান ইগোর আনানশিখ বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতি পুরো ইউরোপের। সবকিছুর খরচ বেড়েই চলেছে। লাভের বদলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকায় জনগণের জীবনমান কমছে।
বিশ্ব এগোতে যে ধরনের পণ্যের প্রয়োজন, সেটার সবচেয়ে বড় চালানগুলো রাশিয়া থেকেই আসে। তাই আমদানি-রপ্তানির গ্রাফটা পাল্টে গেলেও আদতে লাভের অংক ভালোই গুনছে মস্কো। আগামীতে বাণিজ্যের গতি পরিবর্তনকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফল বলে চালিয়ে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সূত্র : চ্যানেল২৪