অর্থনীতি ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ধাক্কায় গ্যান্ট্রি ক্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা সিকিউরিটি মানি পরিশোধ করে ৩৬ দিন পর মুক্ত হলো কার্গো শিপ হানসা রেন্ডসবার্গ।
১ নভেম্বর জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যাল) মোঃ আমিনুল ইসলাম।
হানসা রেন্ডসবার্গ জাহাজটি চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে কন্টেইনার পরিবহনের জন্য ভাড়ায় নিয়ে আসে জার্মানভিত্তিক শিপিং কোম্পানি হ্যাপাগ লয়েড। কলম্বো থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের সময় গ্যান্ট্রি ক্রেনকে ধাক্কা দেওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাহাজটিকে আটক করে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে একটি কমিটি করে বন্দর। কমিটির প্রধান করা হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়ার্কশপ ম্যানেজার মোস্তফা ইকবালকে।
অন্যদিকে অবহেলা এবং অন্যায় আটকের কারণে জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি এবং তা পুনরুদ্ধারের দাবিতে অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা করে জাহাজটির মালিকপক্ষ। এতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
জাহাজ মালিককে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬০ ইউএস ডলার সমপরিমাণ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পরিশোধ করার আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
জাহাজ মালিক পে অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধের পর জাহাজটি মুক্তি দিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদালতের এমন নির্দেশনা পেয়ে জাহাজ মালিক পে অর্ডারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুক‚লে ৩ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ৭২০ টাকা পরিশোধ করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ( মেকানিক্যাল) মোঃ আমিনুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আটক থাকা জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষ পে অর্ডারে সিকিউরিটি মানি পরিশোধ করে। এরপর জাহাজটি ১ নভেম্বর মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
গ্যান্ট্রি ক্রেনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গত ১১ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। গত ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) আমিনুল ইসলাম ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৮৫ ইউএস ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে তিন দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য জাহাজ মালিককে চিঠি দেয়। সূত্র : টিবিএস