রিমন মাহফুজ, শার্ম আল শেখ ( মিশর) থেকে : মিশরের শারম আল শেখে কপের ২৭ তম সম্মেৱনে এর আলোচনার প্রথম সপ্তাহ শেষ। নানা কারণে আলোচিত এই সম্মেলনে এখনো বড় অংকের অর্থ দেখা যায় নি, যদিও সেখানেই দৃষ্টি রয়েছে সবার। সোমবার (১৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ও শেষ সপ্তাহ।
ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ে শুরু হওয়া এই আসরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হলো শনিবার (১২ নভেম্বর)। রোববার (১১ নভেম্বর) বিরতি দিয়ে আবার সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় সপ্তাহের আলোচনা।
মিশরে শীর্ষ সম্মেলনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা দিয়ে শুরু হয়েছিল। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার (৭ নভেম্বর) শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনে বিশ্ব নেতাদের জানান পৃথিবী নামের গ্রহটির জলবায়ু সংকট এক বিশৃঙ্খল পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে এবং এ থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ইউএনএফসিসিসি এক রিপোর্টে জানায়, কার্বন নির্গমন কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা তা থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে দেশগুলো। এখন যে অবস্থা তাতে শতাব্দী শেষে তাপমাত্রা শিল্পায়ন শুরুর যুগ থেকে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রিতে বেঁধে রাখা কঠিন হবে। শুধু তাই নয়, তা আড়াই ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। অর্থাৎ, এখন যতটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে, তখন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হবে। সম্মেলনের শুরুতেই এবার একটা সাফল্য পাওয়া যায়। তা হলো
আনুষ্ঠানিক এজেন্ডায় যুক্ত হওয়া। অল্প কিছু অর্থ সেখানে যুক্ত হয়। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম।
গত বছর গ্লাসগোতে কপের আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্য ও বর্তমান আয়োজক মিশরের করা যৌথ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ চীন ছাড়া বাকি সব উন্নয়নশীল দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। সে হিসেবে এখনো তেমন কোনো অঙ্গীকার আসেনি। এদিকে সপ্তাহজুড়ে কপের ভেন্যুর বিভিন্ন স্থানজুড়ে ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্ব নেতারা চলে যাবার পর তা কিছুটা তীব্র হয়ে যায়। একেক দিনের বিষয় একেক হওয়ায় প্রতিবাদকারীদের স্লোগানও সেভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এবারই প্রথম তরুণদের জন্য একটি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়। তরুণরা এবারের কপেও খুবই সরব, যদিও তরুণদের আইকন গ্রেটা টুনব্যার্গ এবার কপে অংশগ্রহণ করেনি। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক কার্বন নির্গমন করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। গতবছর কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল তারা। কিন্তু তাইওয়ান নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর চীন আলোচনা বন্ধ করে দেয়।
তবে কপে উপস্থিত চীনের ক্লাইমেট নেগোশিয়েটর জি জেনহুয়া আশ্বস্ত করেছেন তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ জলবায়ু দূত জন কেরির কথা হচ্ছে।