একদিন পর আবারও দর পতনে শেয়ারবাজার
মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার আগের কার্যদিবস উত্থান হলেও একদিন পর বুধবার আবারও দর পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচক কমলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হলো। এবিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, শেয়ার বিক্রির চাপে লেনদেন শুরু হয়। ফলে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টার মধ্যে দেড় শতাধিক কোম্পানিতে ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। তার বিপরীতে মাত্র দুটি কোম্পানির বিক্রেতা সংকট হয় অর্থাৎ লেনদেন স্থগিত থাকে। এই অবস্থায় দিনের শেষ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। ফলে এদিন ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ক্রেতার অভাবে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু থেকেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না গড়াতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঋণাত্মক প্রবণতা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ২০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির। আর ২৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি টাকা। লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:- জেনেক্স ইনফোসিস, অরিয়ন ফার্মা, পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসসি, নাভানা ফার্মা, সী পার্ল, ইস্টার্ন হাউজিং, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং,
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:- চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিডি কম, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং, ইস্টার্ন হাউজিং, পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মা, বিডি থাই ফুড, এপেক্স ফুড, অরিয়ন ফার্মা ও অ্যাম্বী ফার্মা।
দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:- আলহাজ্ব টেক্স, সোনালি আঁশ, বাটা সু, অরিয়ন ইনফিউশন, প্রিমিয়ার ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মি. ফান্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি. ফা, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মি. ফা ও এবি ব্যাংক।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৭৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৩ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ২৮ টাকা।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৪০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৪৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি টাকা। লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:- জেনেক্স ইনফোসিস, অরিয়ন ফার্মা, পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসসি, নাভানা ফার্মা, সী পার্ল, ইস্টার্ন হাউজিং, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং,
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:- চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিডি কম, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং, ইস্টার্ন হাউজিং, পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মা, বিডি থাই ফুড, এপেক্স ফুড, অরিয়ন ফার্মা ও অ্যাম্বী ফার্মা।
দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:- আলহাজ্ব টেক্স, সোনালি আঁশ, বাটা সু, অরিয়ন ইনফিউশন, প্রিমিয়ার ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মি. ফান্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি. ফা, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মি. ফা ও এবি ব্যাংক।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৭৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৩ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ২৮ টাকা।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৪০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৪৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।