
খাদ্য নিরাপত্তায় তানজানিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

অর্থনীতি ডেস্ক : খাদ্য নিরাপত্তায় তানজানিয়ার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ব্লু-ইকোনোমিতে তানজানিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে চায় বাংলাদেশ।
ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা জোটের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসা তানজানিয়ার ব্লু-ইকোনোমি ও ফিশারিজ মন্ত্রী সুলেমান মাসুদ মাকামের সঙ্গে বুধবার সাইডলাইন বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণ ও এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উভয়পক্ষ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত সংলাপ করার জন্য আনুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের বিষয়ে সম্মত হন মোমেন-সাবরি। তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থিতাকে সমর্থন করা নিয়ে আলোচনা করেন। ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য ও ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদারের অনুরোধ করেন। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে জানান, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের টেকসই পদ্ধতিতে প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সহায়তা চান। ড. মোমেন বাংলাদেশ মৎস্য, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কৃষিসহ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের কথা তানজানিয়ার মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। ব্লু-ইকোনোমিতে এমওইউ সই করা নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তানজানিয়ার মন্ত্রী জানান, দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তানজানিয়ান মন্ত্রী মোমেনকে জানান, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা তানজানিয়ায় চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের সুযোগ নিতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানজানিয়ার মন্ত্রীকে বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরেন। তানজানিয়ার মন্ত্রী দেশটিতে ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান। মোমেন তানজানিয়াকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইকোট্যুরিজম অভিজ্ঞতা শেয়ার করার অনুরোধ করেন। ড. মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে তানজানিয়া সরকারের সমর্থন চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থন করার অনুরোধ করেন।
