ক্যানসার চিকিৎসার খরচ জোগাতে নিঃস্ব বহু পরিবার
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশে একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় বছরে আনুমানিক ব্যয় ৭ লাখ টাকা। খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হন অনেকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালে আনা সম্ভব।
ফেব্রæয়ারিতে হাড়ে ক্যান্সার ধরা পরে আব্দুস সাত্তারের। এরপর থেকে স্ত্রী কে নিয়ে হাসপাতালেই তার দিননিপাত। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর পেনশনের টাকায় এ ৯ মাস চিকিৎসা নিতে গিয়ে আব্দুস সাত্তার এখন প্রায় নি:স্ব। খেয়ে না খেয়ে মেটাতে হচ্ছে খরচ। তিনি জানান, আমি পেনশনে যা টাকা পেয়েছি সব টাকা শেষ। আর টাকা নেই আমার কাছে। আমি এখন খুব অসহায়। আমার পরিবার যে কিভাবে চলবে আর আমি যে কিভাবে বাঁচব তা কল্পনা করতে পারছি না। আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে কিছু নেই তো মা। আমি কিভাবে যে তাকে রেডিওথেরাপি দিব আর কিভাবে তাকে বাঁচাব তা ভাবতে পারছি না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান গেøাবোক্যানের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ। ওই একই সময়ে ক্যান্সারে মারা গেছেন ১ লাখ ৯ হাজার মানুষ। দেশে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার রোগীর অস্ত্রোপচার, কেমো ও রেডিওথেরাপির দরকার হয়। দরিদ্ররা যে খরচের ভয়ে চিকিতসাই নেন না। আর মধ্যবিত্তরা হন নিঃস্ব। অধ্যাপক এ এম এম শরীফুল আলম বলেন, মধ্যবিত্ত কেন? উচ্চবিত্তদেরও এই ভয়াবহ ক্যান্সারের ব্যায় বহন করা সম্ভব না। বর্তমান সরকারের একটা প্রস্তাবনা ছিল, সবার জন্য স্বাস্থ্য বীমা কিন্তু সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি। ডা. এ. এম. এম. কামাল উদ্দীন বলেন, সরকার বীমার ব্যবস্থা চালু করলে সবাই অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগে চিকিৎসা ব্যয় সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব। ডা. মোস্তফা আজীজ সুমন বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ইহা একটি সমন্বিত চিকিৎসা। সার্জারি লাগে, কেমোথেরাপি লাগে, রেডিওথেরাপি লাগে। অতএব এই তিনটিকে সমন্বয় করা খুবই কষ্টকর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে বছরে যত মানুষ মারা যান তার প্রতি ৩ জনের ২ জনই ক্যান্সারে। সূত্র : চ্যানেল২৪ অনলাইন