দেশে বৃহত্তম পরিবেশবান্ধব সার কারখানার কাজ শেষের দিকে
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ৮২ শতাংশের বেশি কাজ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও নভেম্বরেই উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে বছরে ১০ লাখ মেট্রিকটন সার উৎপাদন করবে বলে আশা করছেন তারা। স্বাধীনতার পর নরসিংদীর পলাশে প্রতিষ্ঠিত দুটি সার কারখানার সক্ষমতা কমে যাওয়ায় দেশে সারের ঘাটতি মেটাতে ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকার। যার দায়িত্ব পায় জাপানি ও চায়নিজ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নতুন কারখানা নির্মাণের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। তাই প্রকল্প এলাকায় ২৪ ঘণ্টাই শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যস্ততা। এখন চলছে দক্ষ হাতে মেশিন বসানো, পাইপিং, কমিশনিং ও রঙের কাজ।
নির্মাণ শ্রমিকরা জানায়, সময় মতো কাজ শেষ করতে রাতেও পুরোদমে কাজ চলছে। তবে এখানে কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। দ্রæত কাজ করতে গিয়ে সেফটি নিয়ে কোনো কমতি হচ্ছে না। এরইমধ্যে ৮২ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। যা সম্ভব হলে ১০০ কোটি আয় করতে পারবে সরকার। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের দু’মাস আগে যাতে কাজ শেষ করতে পারি সেটা আমাদের লক্ষ্য। যদি দু’মাস আগে শেষ করতে পারি, তাহলে এ দু’মাসে সরকার শত কোটি আয় করতে পারবে। বিসিআইসি চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক বলেন, আশুগঞ্জে আমাদের আরও ২০০ একর জায়গা খালি আছে। যদি সেখানে একইরকম ইন্ডাস্ট্রি করতে পারি, তাহলে ২০২৫ সালের পরে আমাদের আর সার আমদানি করতে হবে না। বরং আমরা তখন সার রফতানি করতে সক্ষম হবো।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে দেশের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি সার রফতানি করাও সম্ভব হবে। আমাদের চলমান পরনির্ভরতা কমবে।
১১০ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ কারখানাটি চালু হলে বছরে প্রায় ১০ লাখ ইউরিয়া উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন