জ্বালানি ও বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০৪১ নাগাদ সমৃদ্ধ দেশ হবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবকাঠামোগত একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নকে টেকসই করতে যেখানে প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরী দক্ষতা এবং যথাযত অর্থায়ন। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন কর্মকাÐের অংশীদার হতে চায় ফিনল্যান্ড।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ফিনল্যান্ড’স স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডে; বিল্ডিং বাংলাদেশ শীর্ষক মত বিনিময় সভার আয়োজন করে ফিনল্যান্ড দূতাবাস এবং এফবিসিসিআই। যেখানে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রুনদি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চাই। বিশেষ করে কারিগরী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করছি। এখানে জ্বালানি, স্মার্ট সিটি, বন্দর ব্যবস্থাপনা খাতে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করতে পারে। এ সময়, পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য স¤প্রসারণে এফবিসিসিআই’র সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ফিনল্যান্ডকে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি খাতে ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর সুনাম রয়েছে। এসব খাতে তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক হবে। এইচএসবিসি’র এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয় বাজারের আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে নবম। এই বাজারে ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর জন্যও বড় সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার মিক্সড বেজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে। এমন অবস্থায়, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তরের ওপর জোর দেন বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের কনসুল-জেনারেল এবং সামিট গ্রæপের চেয়ারম্যান আজিজ খান। সভায় নিজেদের ব্যবসা পরিচিতি এবং পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নকিয়া, ওয়ার্টসিলা, এলিমেটিক, কোনক্রেনস, বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রæপ, বসুন্ধরা গ্রæপ, জেমকন গ্রæপ এবং কসমস গ্রæপ। সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, পরিচালকরা, মহাসচিবসহ অন্যান্যরা।