ধোলাইপাড় ও পোস্তগোলায় ১৫ এর অধিক ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বৈদ্যুতিক সরাঞ্জামাদি চোরদলের সাখ্যতা
বিপ্লব বিশ্বাস : রাজধানীর ধোলাইপাড় ও পোস্তগোলায় ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সরাঞ্জামাদি চোর দলের সাখ্যতা খুজেঁ পেয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। ১৫ এর অধিক ভাংগাড়ি ব্যবসায়ির এই সব চোরদলের সঙ্গে যোগসৃত্র রয়েছে।
স¤প্রতি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সারা দেশেই একটি চক্র দেশবিরোধী চক্রান্তের অংশ হিসেবে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুতের সংযোগ না পেয়ে মানুষ কষ্ট করছে। এ ধরনের কাজ যারা করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, বিদ্যুৎ বিভাগের সাব-কন্ট্রাক্টরদের যোগসাজসে এই চক্রটি চুরির কাজটি করে থাকে। ফলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট তৈরি করছে,অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, ধালাইপাড় ও পোস্তগোলায় এলাকায় কমপক্ষে ১৫ এর অধিক ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী এই চোর চক্রের সঙ্গে রয়েছে সাখ্যতা। কেননা চোরাই পন্য এসব ব্যবসায়ীরাই দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি এরা চোরাই তার নিয়ে আটক হলেই এই ব্যবসায়ীরা ছাড়িয়ে আনে। ধোলাইপাড়ে নেহাল কর্পোরেশন নামে একটি ভাঙ্গাড়ি প্রতিষ্ঠান স¤প্রতি এই চোর দলের মাধ্যমে ডেমরা আÐারগ্রাউÐ লাইনের তামা তার কেটে নিয়ে যায়।
যার মূল্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা। মূলত চোরা ৫ কেভি ট্রান্সফরমার দাম ৪৫ হাজার আর ১০ কেভির দাম ৭৫ হাজার টাকা। এই চোরদলের মধ্যে পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার হোগালা গ্রামের মৃত বাদশা হাওলাদার ছেলে মোঃ রাসেল হাওলাদারের নেতৃত্বে অর্ধশত চোর সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম, তৌহিদ ময়মনসিংহ, নাহিদ ঠাকুরগাঁও, কালু, আবুল হোসেন, শরীফ ময়মনসিংহ,সায়মন পিরোজপুর শামীম কাউখালী,মণ্টু, পোড়া জাহাঙ্গীর কাউখালী, সবুজ ভূইয়ার রয়েছে। জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তারা জানান, ৫ কেভি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের দাম ৪৫ হাজার টাকা আর ১০ কেভি ট্রান্সফরমারের দাম ৭৫ হাজার। ৫ কেভির একটি ট্রান্সফরমারে ১০-১২ কেজি আর ১০ কেভির ট্রান্সফরমারে ১৪-১৬ কেজি তামার তার থাকে। প্রতিটি ট্রান্সফরমার থেকে ২ হাজার টাকার তামার তার পাওয়া যায়। ক্যাবল তারেও একই মূল। ডেমরা থেকে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কয়েক শত টন তামা তার বিক্রি করেছে ফলে তথ্য পাওয়া গেছে।এরা ডিপিডিসি,পিডিভি,আরএ বি,ডেসকো,নেসকো,ওজোপাটিসহ যতো বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদারদের সহায়তায় সরকারি সম্পদ চুরি করে এরা কোটি কোটি মালিক বনে গেছেন।
জামালপুর সদর উপজেলার গোপালপুর, দখলপুর ও মির্জাপুর গ্রাম থেকে চুরি হয়েছে ১৯টি ট্রান্সফরমার। এ ছাড়া জেলার সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় চুরি হয়েছে আরও ১৩টি ট্রান্সফরমার। এই চুরির সঙ্গে এই গ্যাং জড়িত বলে ডিবি তথ্য পেয়েছে। সেই সূত্র ধলে র্যাব ও পুলিশ অভিযানে নেমেছে।