শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ালে প্রতিবন্ধীরা হবে দেশের সম্পদ
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশের বেশি মানুষ প্রতিবন্ধী। এই বিপুল জনসংখ্যাকে শ্রমবাজারের উপযোগী করতে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
এমনই একজন সালমা। শারীরিক হাজারও প্রতিবন্ধকতা নিয়েই এক পা-দু’পা করে জীবনের সিঁড়িটা ডিঙোচ্ছেন তিনি। যৌতুকের দাবিতে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে চলাফেরার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে, দু’বছর ধরে ফিজিওথেরাপি নিয়ে কারও সাহায্য ছাড়াই এখন হাঁটতে পারেন। শিখেছেন মোবাইল ফোন মেরামতের কাজ।
এখন কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাঁচতে চান সালমা। তিনি বলেন, প্রতি মাসে আমাকে ১-২ হাজার টাকা ভাতা না দিয়ে যদি একটি কর্মসংস্থানে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া হয় তবে খুব ভাল হতো। কাজ করে খেতে চাই, কারও দয়া নিয়ে বাচতে চাই না। আমার বাঁচার কোনো ইচ্ছাও নেই। আমার একটা বাচ্চা আছে। ওর জন্য বাঁচতে চাই। কাজ করে নিজের চিকিৎসার খরচ নিজে চালাতে চাই।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশনের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের দিতে হবে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ। কিন্তু এ নিয়ে কতটুকু সচেতন নিয়োগকর্তারা? এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ফিজিওথেরাপিস্ট উম্মে কুলসুম লাইজু বলেন, ডিজেবল মানে এই নয় যে তিনি সমাজ বহির্ভূত। তিনি সমাজেই থাকবে এবং সমাজের কাজগুলো স্বাভাবিক ভাবেই করবে। তাকে আমরা ৪-৫ ধরনের কাজের অপশন দিব। তিনি পছন্দমতো কাজটি করবেন কিংবা যেই কাজটি তার করার উপযোগী আমরা তাকে সেটি বাছাই করে দিব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজের সুযোগ দিলে প্রতিবন্ধী এই মানুষগুলো হয়ে উঠবে দেশের সম্পদ। সূত্র : চ্যানেল২৪ অনলাইন