অর্থনীতি ডেস্ক : নিবিড় মনোযোগ, একাগ্রতা, শ্রম আর দক্ষ হাতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে একেকটি কৃত্রিম চুল বা উইগ। মান আর নকশার বিচারে পণ্যগুলো এতোটাই নিখুঁত যে বোঝা দায়, এগুলো আসল নাকি নকল?
বৈশ্বিক ফ্যাশনে বাড়তি রং এনে দেয়া কৃত্রিম চুলের কদর রয়েছে খেলার মাঠ থেকে শুরু করে বিশেষ দিন, সিনেমা কিংবা যেকোনো বর্ণিল আয়োজনে। আশ্চর্যের তথ্য হলো, এই বাজারের বড় একটা অংশই এখন বাংলাদেশের দখলে।
এ বিষয়ে এভারগ্রিন প্রোডাক্ট বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক মেজর কাজী ফেরদাউস-উল-আলম জানান, প্রথম মোংলাতে আমাদের কারখানা স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেখানের পানি আমাদের প্রোডাকশনের সঙ্গে না মেলায় আমরা বিভিন্ন ইপিজেড চেক করে পরবর্তীতে (নীলফামারি) ফ্যাক্টরি স্থাপন করি।
নীলফামারির উত্তরা ইপিজেডে বিশ্বমানের উইগ তৈরি করছে চীনা প্রতিষ্ঠান এভারগ্রিন। যারা ২০১০ সালে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত এ ফ্যাক্টরিতে কাজের সুযোগ পেয়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষের। উন্নত কাঁচামাল ও বিচিত্রসব নকশায় মোড়া এসব শৌখিন এবং মূল্য সংযোজনী পণ্যের বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বহু দেশ।
এভারগ্রিন প্রোডাক্ট বাংলাদেশ এর ফ্যাশন ডিজাইনার নূসরাত জাহান জানান, ইস্টার সানডে, ক্রিসমাস, হ্যালোইন বিভিন্ন সময় তারা এগুলো গ্রহণ করে।
মূলত, বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা আর শ্রমের সহজলভ্যতার কারণে উত্তরা ইপিজেডে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখায় চীনা প্রতিষ্ঠানটি। অল্প সময়ে দক্ষতা আর উৎপাদনশীলতায় বড় বদলের মাধ্যমে বাড়াতে থাকে বিনিয়োগ। বর্তমানে ইপিজেডের পাঁচ কারখানায় যা ছাড়িয়েছে পৌনে পাঁচ কোটি ডলার। একই সঙ্গে সবশেষ অর্থবছরে রপ্তানি করেছে প্রায় ৪ কোটি ডলারের পণ্য।
এভারগ্রিন প্রোডাক্ট বাংলাদেশ এর ফ্যাক্টরি ম্যানেজার লী চাও জানান, বাংলাদেশের শ্রমশক্তি সত্যিই অনন্য। তাদের সহযোগিতা না থাকলে আমরা এতটা সাফল্য পেতাম না।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ট্র্যাডিশনাল এবং নন-ট্র্যাডিশনাল উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। এখনও ইপিজেডে অনেক জায়গা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী এই পণ্যের বাজার ছিল ৩ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে অন্তত ১০ শতাংশ। সূত্র : চ্যানেল২৪ অনলাইন