কানাডায় বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলন শুরু ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে প্রাকৃতিক ধ্বংস ঠেকানোর লক্ষ্য
মোশাররফ হোসাইন, কানাডা থেকে : কানাডার মন্ট্রিলে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের আয়োজনে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলন ২০২২ (কপ-১৫)। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে মন্ট্রিল সিটিতে শুরু হওয়া সম্মেলনে বিশ্বের ১৯৬টি দেশের সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, এনজিও প্রতিনিধি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক ডেলিগেটরা অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করাই এবারের সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হিসেবে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক ধ্বংস ঠেকানো এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য কাঠামোতে সকল দেশ নিজেদের মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছানো।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) যৌথভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডো এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডো তার বক্তব্যে বলেছেন, প্রকৃতি হুমকিতে নয়, এটি আসলে আক্রমণের শিকার। তাই প্রকৃতি রক্ষায় কোনো মতবিরোধ থাকতে পারে না। রাজনীতি ও রাষ্ট্র নিয়ে আমাদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কোনো মতভেদ নেই। তাই এটি রক্ষায় সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর সব নেতাকে এক টেবিলে বসে এ নিয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় জাস্টিন ট্রæডো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট তহবিলে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেন। জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস তার বক্তব্যে বলেন, এই সম্মেলন প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়তে সহায়ক হবে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ নয় বরং প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির আসক্তি আমাদের জলবায়ুকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। টেকসই উৎপাদন এবং দানবীয় ভোগের অভ্যাস আমাদের বিশ্বকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আমাদের উচ্চাভিলাষী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরির আগে সকল দেশের সরকারকে জীববৈচিত্র্যের কথা ভাবতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মন্ট্রিল সিটি মেয়র ভেলেরি প্ল্যান্টি, চীনের পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী হুয়াং রুনকুই ও কুনমিং সিটি মেয়র লিও জিয়াচেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব