সোহেল রহমান : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ভূটানকে বাংলাদেশ সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)-এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ভূটানের সাথে প্রথম পিটিএ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, যা গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। আশা করি, এতে করে উভয় দেশ বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ হয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভূটান-এর রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল-এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, ভূটান দূতাবাসের মিনিস্টার ট্রেড কাউন্সিলর কেনচো থিনলে এবং থার্ড সেক্রেটারি পেমা সেলডন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভূটানে ৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং একই সময়ে ৩৫ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভূটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে মেডিকেল, প্রকৌশল, বিশ^বিদ্যায়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) বিশ^ মানের ডিগ্রী প্রদান করে আসছে। ভূটানে বাংলাদেশের আইসিএবি উন্নত ও আধুনিক হিসাব শিক্ষা পরিচালনা করতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত ভুটান-এর রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল বলেন, ভূটান বাংলাদেশে কমলালেবু রপ্তানি করে থাকে। এখন ফলের মৌসুম। বাংলাদেশের আমদানিকারকদের এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে ফল আমদানি স্বাভাবিক থাকবে। ভূটান উন্নত মানের মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে ভূটান মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করতে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, সোনাহাট স্থল বন্দর ভারত ও ভূটানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দর দিয়ে ভূটান ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে বাণিজ্য সহজ হবে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।