অর্থনীতি ডেস্ক : নতুন বছরে নতুন শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে আসছে এনসিটিবির বই। মাধ্যমিকে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
ইতিমধ্যে ২৩ লাখ ১৫ হাজার বই এসে পৌঁছেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-চট্টগ্রাম সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বই প্রয়োজন ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি । এ পর্যন্ত মাধ্যমিকের জন্য ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৫টি, মাদ্রাসার জন্য ৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৫৬টি বই পাওয়া গেছে। সর্বমোট প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৯১টি। আরও ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার ১১২টি বইয়ের প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৯১টি বই আমাদের কাছে পৌঁছেছে। আশা করছি, অবশিষ্ট বইগুলো নির্ধারিত সময়ে এসে যাবে। পরে এসব বই ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৩৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে অধ্যয়নরত ১০ লাখ ৮২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এখনও পর্যন্ত নতুন বই আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।
২০১০ সাল থেকে দেশে বই উৎসবের মাধ্যমে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র ২১ দিন মাস বাকি। জাতীয় শিক্ষা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানিয়েছে, কার্যাদেশ দিতে দেরি হওয়ায় সময়মতো বই ছাপিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এবার প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই ও শিক্ষক গাইড দেওয়া হবে। অন্যান্য শ্রেণিগুলোর জন্য পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে বই ছাপানো হচ্ছে। সূত্র : বাংলানিউজ