প্রথমবার ইউরোপের জ্বালানি খরচ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াচ্ছে
রাশিদ রিয়াজ: কয়েক দশকের মধ্যে গভীরতম শক্তি সংকটে পড়েছে ইউরোপ। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে ও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জ¦ালানি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এ সংকটকে আরো জটিল করেছে। ইইউভুক্ত দেশগুলো ইতিমধ্যে জ¦ালানি খরচ বাবদ এক ট্রিলিয়ন ডলার বা ৯৪০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে। বøুমবার্গ/আরটি
ক্রমবর্ধমান জ¦ালানি শক্তির দাম ইইউকে অর্থনীতিকে মন্দার মধ্যে ফেলে দিয়েছে কারণ বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এর বিকল্প উৎসের খোঁজে আরও ব্যয়বহুল সরবরাহের দিকে যেতে বাধ্য হচ্ছে দেশগুলো। তবে এধরনের পরিস্থিতিতে ইইউকে বাড়তি জ¦ালানি শক্তি কতটা ব্যয় করতে হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। কারণ জ¦ালানি শক্তির উচ্চ মূল্যের সময়কাল আরো কয়েক বছর স্থায়ী হতে পারে, এক্ষেত্রে বাড়তি ব্যয় ইতিমধ্যেই অসাধ্য হয়ে উঠছে। ইউরোপ জুড়ে গ্যাস মজুদের সুবিধা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এ শক্তি সরবরাহের নিরাপত্তা আগামী শীতের পরেও একটি সমস্যা থাকবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে রাশিয়া থেকে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে কোনও ডেলিভারি ছাড়াই আগামী শীত মৌসুমের জন্য তাদের গ্যাসের মজুদ পুনরায় পূরণ করতে হবে, যা ট্যাঙ্কারের জন্য প্রতিযোগিতাকেও বৃদ্ধি করবে। এমনকি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) জন্য আরও বেশি আমদানি টার্মিনাল চালু হাবার পরও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা কাতার থেকে অতিরিক্ত জ¦ালানি আমদানি করতে পারলেই ইউরোপের জ¦ালানি সংকট কেবল ২০২৬ সালে স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করবে।
জ¦ালানি পরামর্শক ও বিশ্লেষক মার্টিন ডেভেনিশ বলেন, আগামী বছর জ¦ালানির চাহিদা মোকাবেলা করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। গ্রীষ্মকালে জ¦ালানি মজুদ করে রাখার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ¦ালানির মূল্য সর্বকালের উচ্চ হারে থাকলেও সরবরাহের চাপকে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে ইউরোপ। তবে শীত আরো বৃদ্ধি পেলে এবং হিমায়িত আবহাওয়ায় জ¦ালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে আসল পরীক্ষায় ফেলবে।
গত মাসে, জার্মানির শক্তি নিয়ন্ত্রক, ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি, সতর্ক করেছিল যে জার্মান পরিবার এবং ছোট ব্যবসাগুলি তাদের প্রথম গ্যাস সাশ্রয় নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। নিয়ন্ত্রক উল্লেখ করেছেন যে আগামী মাসগুলিতে গ্যাসের ঘাটতি এড়াতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ ব্যবহার হ্রাস করা প্রয়োজন।