মাসুদ আলম : বোমা ফাটিয়ে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডাকাতি করা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মূলহোতা হাছান জমাদ্দার ওরফে ল্যাংড়া হাছান, মো. আরিফ, মো. আইনুল হক ওরফে ভোলা, সাইফুল ইসলাম মন্টু, আনসার আলী ও মো. শাহিন। তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি চাপাতি ও ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাজধানীর রামপুরা থানার হাজীপাড়া বৌ-বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ২০১২ সালে সিলেটে ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে পা হারিয়ে নাম হয় ল্যাংড়া হাছান। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেননি তিনি। হাছানের পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে বøক করে রাখা। তাই সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পালিয়ে যেত। একইভাবে আবার ফিরে আসতো। চক্রের সদস্যদের নিয়ে ডাকাতি করে ভাগবাটোয়ারার পর ফিরে যেতেন ভারতে। তিনি আরও বলেন, হাছান দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। মূলত তিনি ভারতে বসে সহযোগিদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা করতো। গত ১০ বছরে ৩০টির বেশি ডাকাতি করেছে ল্যাংড়া হাছানের দল। এই ডাকাতির মাধ্যমে হাজার হাজার ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়েছে। হাছান ভারতে বসে সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকান টার্গেট করত। এরপর ডাকাতির আগে তারা সেই দোকানের আশপাশে একটি বাসা ভাড়া নেয়। তারপর ডাকাত দলের সদস্যরা দোকানের আশপাশে রেকি করে প্রস্তুতি নিতো। তিনি বলেন, প্রথমে বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ৬ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে দোকানের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে আগে থেকে ঠিক করে রাখা গাড়িতে করে পালিয়ে যেতো।
এই চক্রটি ডাকাতির মালামাল কোথায় বিক্রি করে সেই তথ্য আমরা পেয়েছি। পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারে কিছু চক্র রয়েছে যারা এই সকল মালামাল কিনে থাকেন। আমরা মালিক সমিতিকে অনুরোধ করবো এই সকল অসাধু চক্রকে প্রশ্রয় দেবেন না।